‘দুই মলাটের দুনিয়া’র বাইরে - অভীক মোহন দত্ত
‘দুই মলাটের দুনিয়া’ পাঠক পছন্দ করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। ফেসবুক ও প্রিন্টেড মিডিয়ায় আলোচনা উঠে আসছে একে-একে। আজ ‘এই সময়’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি পরিচিতি। লেখকের তাতেই তৃপ্তি। লেখক কৃতজ্ঞও বটে। কৃতজ্ঞতা-স্বরূপ পাঠকদের জন্য রইল এমনই একটি গ্রন্থযাপনের কিসসা, যা ‘দুই মলাটের দুনিয়ায়’ গ্রন্থবদ্ধ হয়নি। ________ আজকাল শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘উজান’ পড়তে বসলেই আমার ক্যাথির কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে ক্যাথির হাতে উল্কি করা সেই শূন্যগর্ভ বালিঘড়িটির কথা। সেটা ছিল একটা মেঘলা দুপুর। আলাদিন রেস্তোরাঁর ক্যাথি দু’চোখে ভূমধ্যসাগরের রং ছড়িয়ে আস্তে করে বলল— “ইউ নো, ইট হ্যাজ এ ডিপার মিনিং। ক্যান ইউ টেল মি হোয়াট ইট ইজ?” আমি তখন ক্যাথির হাতের দিকে তাকিয়ে। কবজির দু’ইঞ্চি উপরে একটি নিখুঁত বালিঘড়ির অবয়ব। শুধু অবয়বটুকুই। তার গর্ভে নেই একটিও বালুকণা। ক্যাথি হাসছে মিটিমিটি। একশো হাত দূর থেকে ভূমধ্যসাগর ছুঁয়ে আসা ভিজে হাওয়া তার শ্বেতস্বর্ণাভ চুলে পাগলামি করছে... তেল আভিভ শহরের সাগরবেলা ডানহাতে রেখে রেখে সোজা হেঁটে গেলে পৌঁছোনো যায় জাফা পোর্ট। জাফার এমনিতে নাম আছে ‘ইজরায়েলের প্যারিস’ বলে— এখানে...