ঠাউরানির চরের রাত - শিল্পী দত্ত

ঠাউরানির চরের রাত শিল্পী দত্ত ।। ১।। “বন্ধু তিনদিন তর বাদাতে গ্যালাম চাক পাইলাম না আইতে একশো যাইতে একশো পারমিটেতে একশো যায় এত খরচ তবু বুঝি মধু মিলা না...” আনোয়ার শেখ পেশায় মৌয়াল। চাক খোঁজা, ভাঙা, নিড়ান দেওয়া ছাড়া জগতের আর কোনো কাজ আনোয়ারের জানা নেই। অথচ পারমিটের পয়সা, মহাজনের কর্জ মেটাবার টাকা, নৌকার পারমিটের খরচ জোগানোর ক্ষমতাও নেই। তিনমাসের টাকা আগাম মহাজন দেয়। বদলে মধু, চাক সবই মহাজনের। “রাতের আন্ধাইরে ঠাউর হয় না ভালা...” স্বগতোক্তি করে পিয়াল শেখ টেমিটায় রেড়ির তেল ঢালে আরেকটু। “আনোয়ার ভাই, জলদি করবানা, হালার পুতগো সইখ্যে আইলে এক্কেরে বাদায় গোর দিব গুসল না করাইয়া।” পিয়াল শেখ আনোয়ারের সম্বন্ধী। পুরাতন, ছোট্ট জেলে ডিঙিখানা মাত্র সম্বল করে পারমিট ছাড়া, অস্ত্র ছাড়া এই দক্ষিণ রায়ের রাজত্বে মধুর খোঁজে আসা ব্যতীত আর কোনও উপায় আল্লা রাখেননি। কাদা জলে তড়াক লাফে নেমে ডিঙি ঠেলে গরান গাছের আড়ালে লুকোয় আনোয়ার। পিয়াল শে...