পোস্টগুলি

‘ক্যাপ্টেন তুমি কিচ্ছু বোঝোনি।’

ছবি
‘ক্যাপ্টেন তুমি কিচ্ছু বোঝোনি।’ টিনটিনে জাতিবিদ্বেষ? সত্যি? ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা এগমন্ট একটি বই প্রকাশ করেন। বইটি বিগত প্রায় পঞ্চান্ন বছর ধরে নিষিদ্ধ ছিল। বইটির সঙ্গে তারা একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনটিতে বলা হয় যে, এই বইটি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই। বইটিতে বুর্জোয়া এবং পিতৃতান্ত্রিক স্টিরিয়োটাইপ রয়েছে এমন মুচলেকাও দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে বেলজিয়ামে বিয়েনভেনু মন্দোন্দো নামের এক আফ্রিকান-বেলিজিয়ান নাগরিক কোর্টে যান এই বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে। ২০১৯ সালে এই বইটির বিশেষ ‘ডিজিটাল-এডিশন’ প্রকাশ করা হয়। তখনও সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমন বাঙালি পাঠক বোধহয় কম আছেন যিনি এই বইটি পড়েননি। বইটির নাম ‘কঙ্গোয় টিনটিন’! এমন একটি বই যা আপাদমস্তক বর্ণবিদ্বেষ এ মোড়া। সাম্রাজ্যবাদী এক ইউরোপিয়ান দেশের প্রোপাগান্ডা করার জন্য বানানো। টিনটিন? যে টিনটিন বাঙালিকে বিশ্ব চিনিয়েছিল, যে টিনটিন তার শৈশব-কৈশোরের সঙ্গী, যে টিনটিনের বই পঞ্চাশোর্ধ্ব বাঙালিও হাতের কাছে পেলেই আবার তাতে বুঁদ হয়ে যায়, তা হোক না সেই বই তার আগেও বার-দশেক পড়া, সেই টিনটিন বর্ণবিদ্বেষী? সত্যিই তাই? আচ্ছা

যুযুধান দুই জিনিয়াস : মুখোমুখি মেঘনাদ সাহা ও চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন - অভীক মোহন দত্ত

ছবি
  যুযুধান দুই জিনিয়াস :   মুখোমুখি মেঘনাদ সাহা ও   চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন অভীক মোহন দত্ত   বয়সের ব্যবধান তাঁদের মাত্রই পাঁচ বছরের। নামডাকের ব্যবধান বিস্তর। আর দু’জনে র মানসিকতায়? সে ব্যবধান বুঝি বা অনতিক্রম্য। মানসিকতা-মননের এই দুস্তর ব্যবধানই তাঁদের কিংবদন্তিসম ‘বৈরিতা’র জন্মদাতা। এই লেখায় আমরা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব পূর্ববঙ্গের শিমুলিয়া গ্রামের বৈষ্ণব সাহা পরিবারের সন্তান মেঘনাদ (নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল মেঘনাথ, মাইকেলের কাব্য পড়ে সে-ছেলে নিজেই নিজের নাম বদলে রাখে মেঘনাদ) আর তিরুচিরাপল্লির তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারের চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট পদার্থবিদ্যার আঙিনায় এসে কেমন করে হয়ে ওঠেন একে অন্যের প্রতিস্পর্ধী। আমরা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব কেমন করে-ই বা এই দুই বিশাল প্রতিভার অস্বস্তিকর সহাবস্থান ভারতীয় বিজ্ঞানজগতের স্বাভাবিক ক্রমবিবর্তনের গতিরোধ করেছে বারংবার, তীক্ষ্ণধার খড়্গের মতো দুই ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষে কীভাবে উপর্যুপরি রক্তাক্ত হয়েছে দুই জিনিয়াসের কর্মজীবন, ব্যক্তিমানস।    দুই পৃথিবী    রাডক্লিফের কলমের খোঁচায় ভাগ হয়েছিল অখণ্ড ভারত। বাংলা আর পঞ্জাবের মানুষের বুকে সে ঘা আজও সমান দগদগে। সাহা