ফ্রেনলজিকাল বাস্ট ওক্যালিপার্স ‘আয় তোর মুন্ডুটা দেখি, আয় দেখি [ক্যালিপার্স] দিয়ে’: ব্রিটিশ-ভারতে ফ্রেনলজি চর্চা ও কয়েকটি ঠগি-করোটির রোমাঞ্চকর বৃত্তান্ত সম্রাট লস্কর মাননীয় মহাশয়, কিছুদিন পূর্বে আপনি আমার উপর যে কার্যের দায়িত্ব অর্পণ করিয়াছিলেন তাহা আমি সঠিক সময়ে সম্পন্ন করিয়া উঠিতে পারি নাই। তাহার জন্য আমি যারপরনাই লজ্জিত। আমি অবশেষে আপনার নিমিত্ত দশটি করোটি প্রেরণ করিলাম। এগুলি যদি আপনার কার্যের উপযুক্ত বলিয়া গণ্য করেন, আমি আপনার বর্তমান গবেষণার জন্য এই প্রকার আরও করোটি প্রেরণ করিব। আপনার যদি অপর ধরনের করোটির প্রয়োজন হয়, আমায় তাহা নির্দিষ্ট করিয়া বলিলে আমি সেই ধরনের করোটিরও বন্দোবস্ত করিতে পারিব। নানা কার্যে ব্যস্ততাজনিত কারণে বিলম্ব হইলেও আমার স্থির বিশ্বাস যে অতি সত্ত্বর আমি আপনার সাক্ষাতের সৌভাগ্যলাভ করিব। আপনার একান্ত অনুগত, রাম মোহন রায় হ্যাঁ, ১০ মার্চ, ১৮২২-এ ইংরেজিতে লেখা এই চিঠিটার লেখকের নাম ঠিকই পড়েছেন। কোনও মুদ্রণ প্রমাদ নয়, একই নামের ভিন্ন কোনও ব্যক্তি নয়, চিঠির প্রাপককে যিনি দশটি মানব করোটির জোগান দিচ্ছেন এবং আরও করোটির জোগানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি ভারতের প্রথম আধ