Pohela Boishakh In College Street: সবাই মিলে কলেজ স্ট্রিটে ১লা বই!
বৈশাখের প্রথম দিন। রবিঠাকুরের জন্মদিনের কিছু বিলম্ব আছে, তবে আকাশের রবিবাবু প্রখর রৌদ্রে তাঁর তেজ বর্ষাচ্ছেন অথবা তীক্ষ্ণ ফলার মতোই ‘বর্শাচ্ছেন’। তাতে কি বাঙালির নববর্ষ পালনে ভাটা পড়বে? বইপাড়ার চিরকালীন ঐতিহ্য মেনে হালখাতা খুলবে না? অসম্ভব৷ বইপাড়ার ছোট বড় প্রকাশকদের ঘর সেজে উঠেছিল ফুল-মালায়, নতুন বইয়ের গন্ধে। কলেজ স্কোয়ারে ছোট্ট বইমেলার আয়োজন। পায়ে পায়ে হাঁটছেন নবীন-প্রবীণ উভয় প্রজন্ম। অন্তরীপের ছোট্ট বই-বিপণিতেও সকাল থেকেই ছিল সাজ-সাজ রব। লেখক-পাঠক, চেনা-অচেনা অতিথিরা আসছেন, সদ্য প্রকাশিত ‘হালখাতা’ সংখ্যা নেড়েচেড়ে দেখছেন, পছন্দের বই-পত্র কিনছেন আর তাঁদের আপ্যায়নে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ঠান্ডা আমপোড়া শরবত, কখনও বা কুলফি মালাই আর রসে টইটম্বুর মিষ্টি। অন্তরীপ হালখাতা সংখ্যায় বইপাড়ার অন্যতম অভিভাবক শ্রদ্ধেয় ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর অনবদ্য স্মৃতিচারণে লিখেছেন পয়লা বৈশাখের ঐতিহ্য আর নস্টালজিয়ার কথা। বাঙালির যতই বিস্মৃতিপ্রবণতার অপবাদ জুটুক, তার শিকড় আঁকড়ে থাকার চিহ্নটুকু টুকরো ছবি হয়ে ভেসে থাকে এখনও। বইপাড়ায় বর্ষবরণে তা আরেকবার দেখা গেল ১৪৩০ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনে। টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় কলেজ স্ট্রীটের পয়লা দিনের মনোরম খণ্ডচিত্র ফুটে উঠল সুন্দরভাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন