প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান - তমোঘ্ন নস্কর

 





প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান

 

তমোঘ্ন নস্কর

 

 

পর্ব : বেলওয়াড়ি বাঘিনী

 

চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরেছে অস্ত্রধারী সেনানীরা। তাদের লাল পাগড়িতে রানির ছোট্ট শরীরখানা দেখতে পাওয়া যায় না। তবুও দু’হাতেই নিজের খণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন রানি।

 মেয়েরা যেখানে লড়াই চালাচ্ছেন, সেখানে তিনি নিজেকে সমর্পণ করতে পারেন না। হঠাৎ করেই ভীষণ সাড়া লেগে গেল যেন...

ক্লান্ত, রক্তাক্ত, ঘর্মাক্ত রানি নিজের খণ্ডের উপরে ভর দিয়ে তাকিয়ে রইলেন সম্মুখে ভ্রু-পল্লবের উপরে অনেকখানি কেটে গেছে। রক্ত জমাট বেঁধে ঝাপসা করে দিয়েছে দৃষ্টি। সেই ঝাপসা দৃষ্টিতেই দেখলেন, কেউ একজন এগিয়ে আসছে। তার কণ্ঠে কড়ির মালা, কপালে তারই মতো ত্রিপুণ্ড্রক। একের পর এক সেনারা সরে গিয়ে প্রান্তর ফাঁকা করে দিচ্ছে সসম্ভ্রমে। কিন্তু রানি মাথা তুলে রইলেন। সেই মানুষটা কোমর থেকে বের করলেন তরবারি। রানি স্মরণ করলেন বীরভদ্রকে, হে মহাদেব, আজই তবে আমার শেষ। তুমি আমায় ক্ষমা করো ঈশ্বরপ্রভু। তোমার প্রদেশ আমি রক্ষা করতে পারিনি।” কিন্তু কী আশ্চর্য! মানুষটা এসে তাঁর সমুখে নতজানু হয়ে বললেন, “মা!”

 

***

 

আজকের কাহিনি দুই অসামান্য বীরের। বীরত্বের মূল মন্ত্র কী জানেন? শ্রদ্ধা, সম্মান এবং যথার্থতা! এ এমন এক রানির কাহিনি, যিনি সেই সময়ে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজের যোগ্য জীবনসঙ্গী বাঁচার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বয়ংবরে শর্ত দিয়েছিলেন, তাঁর যোগ্য সঙ্গী হবে তাঁরই মতো বীর। নিজের বয়সের চেয়ে একটি বেশি ব্যাঘ্র যে এক মাসের মধ্যে বধ করবে, সে-ই হবে তাঁর যোগ্য জীবনসঙ্গী। ভাবুন তো, মধ্যযুগে যেখানে সর্বত্র নেমে আসছে নারীদের উপর পরদার অভিশাপ; সেখানে এক তরুণী এমন এক শর্ত দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছেন, তাও স্বাধীন রাজাদের

 

***

 

মালাম্মা অর্থাৎ জুঁই ফুল। সামন্তরাজা মধুলিঙ্গার কন্যাটি তাই জুঁই ফুলের মতোই সুন্দর আর সুরভিত তাঁর ব্যক্তিত্ব। সুবিশাল বিজয়নগর সাম্রাজ্যের পেটের ভিতর এক টুকরো রাজত্ব তাঁদের...

সমুদ্র তীরবর্তী সোড় রাজ্য ছোট্ট হতে পারে কিন্তু রাজা মধুলিঙ্গা তাঁর পুত্র এবং কন্যা, দু’জনকেই যোগ্য উত্তরাধিকারীর শিক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে দুই সন্তানই সমান।

 

***

 

১৬৩৭

“আর শাসন? শাসনভার তো শিখতে হবে আচার্য। সে-শিক্ষা আমাকে দেবেন না!

স্মিত হেসে আচার্যরা বললেন, “মা, শাসনভার ব্যবহারিক বিষয়। তোমাকে বেদ, শাস্ত্র, দর্শন এবং রাজনীতির যে জ্ঞান দিয়েছি, সেই জ্ঞানগুলিকেই পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত করে শাসন চালাতে হবে। যখন যেমন পরিস্থিতি তখন তেমন

প্রিয়তম ছাত্রীকে বিদায় দিতে আচার্য ও আচার্যানীরা গুরুগৃহের দরজা অবধি এসে পৌঁছেছিলেন। গুরুগৃহের দরজায় ততক্ষণে সুসজ্জিত সুবিশাল সেনাবাহিনী এসে পৌঁছেছে। তারা তাদের ভাবি উত্তরাধিকারীকে সসম্মানে পুনরায় রাজগৃহে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। সুদীর্ঘ সাত বৎসর ধরে রাজকন্যা এই গুরুগৃহে আবাসিক থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। এইবার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল।

ঘোড়ায় তুলে দিতে এসে থমকে দাঁড়ালেন জ্যেষ্ঠ আচার্য (শাস্ত্রী), সজল চক্ষু মেললেন কন্যাসমা তাঁর ছাত্রীর দিকে, “একটা কথা মনে রেখো মা, যা-ই বিপদ আসুক, সত্য ও কর্তব্যের থেকে মুখ লুকোবে না। আমরা যেমন আজ তোমার পরীক্ষা নিলাম। তেমনি একটা সময় আসবে, যখন জীবনও তোমার পরীক্ষা নেবে

ভিতরে ভিতর অস্থির হয়ে উঠলেন কন্যা! আচার্য দেব কি তবে তার ভাগ্য পরীক্ষা করেছেন? জিজ্ঞাসা করতে মন চাইল কিন্তু গুরুকে শিক্ষার কথা, জ্ঞানের কথা জিজ্ঞাসা করা যায়। নিজে ভাগ্যের কথা বলা যায় না! আচার্যদেব শিখিয়েছেন, ভাগ্যও লড়ে তো তৈয়ার করতে হয়। ঘোড়ার পিঠে ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলেন রাজধানীর উদ্দেশে।

আচার্যদেব স্মরণ করলেন, “জয় বীরভদ্র, জয় শিবশম্ভু। মেয়েটিকে রক্ষা করো

দশজন শাস্ত্রী সাতবছর ধরে বেদ, শাস্ত্র, দর্শন, রাজনীতির পাঠ দিয়েছে মেয়েটিকে। মেয়েটির অধ্যয়ন শেখার আগ্রহ তাদেরকে মুগ্ধ করেছে কিন্তু গণনা বলছে, তাঁর সম্মুখে মহা সমর

 

***

 

রাজধানীতে ফিরতে ফিরতে আচার্য রন্না ছাত্রীকে নিয়ে বনের পথ ধরলেন। ছাত্রী তো অবাক! সমস্ত সৈন্যকে ছেড়ে তাঁকে নিয়ে বনের পথ ধরলেন কেন আচার্য?

 কিন্তু আচার্যকে তো প্রশ্ন করা যায় না। এই একমাত্র আচার্য যিনি ছাত্রীর সঙ্গে রাজগৃহবধি তাকে ছেড়ে দিতে এসেছেন। হাজারো কথা চিন্তা করতে করতে পথ চলছিলেন দু’জনে। আচমকাই শব্দ জাগল, “ঘ্রুউম ঘ্রুউম

চমকে ভল্লের হাতলের উপরে মুষ্ঠি শক্ত করলেন বালিকা মালাম্মা। “আশ্চর্য! আচার্য দেব গেলেন কই?” এই ঘন অরণ্যে এসে ঠা ঠা একা। ভীষণ বোঁটকা গন্ধ তাঁর নাকে আসছে। আবার শব্দ উঠল, “ঘ্রুউম ঘ্রুউম” আর তার সঙ্গেই ঝোপের ভিতর থেকে লাফ মারল হলুদ বিদ্যুৎ।

ঘোড়ার উপর থেকেই কানের পাশটিতে নিখুঁত লক্ষ্যে ছুড়ে দিলেন ভল্ল। কিন্তু মাত্র তেরো বছরের বালিকা, তাঁর হাতে আর কতটুকু-ই বা জোর!

 ভল্লখানা গেঁথে গেল কিন্তু আঘাত সেরকম জোরালো হল না। মাটিতে পড়েই উঠে পড়ল শার্দূল মহারাজ। আবার লাফ দেওয়ার জন্য উদ্যত হল। ততক্ষণে নিজের কোমর থেকে তরবারি বের করে নিয়েছেন মালাম্মা।

তবে তার আর প্রয়োজন হল না। নিখুঁত লক্ষ্যে উপর্যুপরি পাঁচখানা শরে বিদ্ধ করল তার কণ্ঠ। দু’বার থরথরিয়ে কেঁপে ভূমিশয্যা নিল বাঘ। কোথায় লুকিয়ে ছিলেন আচার্যদেব, কে জানে? গাছের গুড়ির ভিতর থেকে ঠিক রক্ষা করেছেন ছাত্রীকে। সামনে এলেন রন্না। বললেন, ভেবেছিলাম, এতদিন ধরে তোমাকে অস্ত্রশিক্ষা দিচ্ছি। একটু পরীক্ষা নিয়েই দেখি। সাহস এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব কতখানি গড়ে তুলেছ।”

 

***

 

ঈশ্বরপ্রভু দেশাই বেলওয়ারির যুবরাজ একুশটি ব্যাঘ্রের শির এনে রাখলেন স্বয়ংবর সভায়। তাঁর বয়স কুড়ি, তাই রাজকুমারীর শর্তমতো একুশটি ব্যাঘ্র ইনি শিকার করেছেন। শর্ত মেনে মালাম্মা বিবাহ করলেন তাঁকে

বেলওয়ারি ছোট্ট রাজত্ব কিন্তু স্বামী-স্ত্রী দু’জনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বুদ্ধিতে তার সাফল্য  শিখর স্পর্শ করল। আনুমানিক একশো ষাটখানি গ্রাম ছিল তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। গ্রামগুলিতে ধান, চাল, আখ এবং মশলার চাষ বাড়িয়ে তাঁদের অর্থনৈতিক কাঠামোকে সুদৃঢ় করলেন। তৈরি করলেন ভীষণ শক্তিশালী দশ হাজার সৈন্যের একটি সেনাদল। নিজের রাজত্বের সীমানা থাকা করওয়াড় বন্দরকে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করে বিদেশি রফতানি প্রক্রিয়াকে মজবুত করলেন।

 

***

 

১৬৭০-এর কোনও এক সময়

গোয়ালা বুক চাপড়ে কাঁদছিল রাজদ্বারে। প্রথমে তার কথা কেউ পাত্তা দেয়নি কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে কাঁদার পর এক রক্ষী তাকে নিয়ে এসেছিল রাজার কাছারিতে। ঈশ্বরপ্রভু তখন সকালের বিচারে বসেছেন। অবাক হয়ে গিয়েছিলেন গোয়ালার অভিযোগ শুনে “রাজে এমন করেছেন!”

তাঞ্জোর অধিগ্রহণের পর ইয়াড়বাড়ে শিবির করেছিলেন রাজে। সেই শিবিরে খাদ্যের জন্য দুধের জোগান দিচ্ছিল স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই গোয়ালা তাদেরই একজন। রাজের সৈন্যরা নাকি জোর করে দুধ ছিনিয়ে নিয়েছে! প্রাপ্য দেয়নি। উপরন্তু প্রাপ্য চাইতে গোরুগুলি হরণ করেছে! এ তো রীতিমতো জুলুম! মুঘলসৈন্যরা এমনই জুলুম করে থাকে মানুষের উপর, তাই তো স্বরাজের দাবি!

বিশ্বাস-অবিশ্বাস মিলিয়ে বার বার প্রশ্ন করেন তিনি। কিন্তু উত্তর একই আসে। নিজের মন্ত্রী সিদ্ধাগৌড়া পাতিলকে পাঠালেন বিষয়টি দেখে আসার জন্য। সংঘর্ষ নয় সরেজমিনে তদন্ত করতে বললেন।

খানিক পরে খবর আসে। ভীষণ এক সমর শুরু হয়েছে। সিদ্ধাগৌড়া নিহত, তাই সরাসরি যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। বিশাল এক মারাঠা সেনাদল এগিয়ে আসছে বেলওয়াড়ির পথে। সঙ্গে সঙ্গেই নিজের সৈন্যদল নিয়ে রওনা হলেন ঈশ্বরপ্রভু

সঙ্গী হলেন মালাম্মা নিজে। দ্বি-সহস্র নারী যোদ্ধা ও ত্রি-সহস্র নারী রক্ষী নিয়ে অতর্কিতে আক্রমণ করে ছিন্নভিন্ন করে দিলেন মারাঠা সৈন্যদলকে। অবস্থা এমনই দাঁড়াল যে, তাঁকে সামাল দিতে ঘটনাটি শিবাজীর কানে তুললেন তাঁর সেনাপতিরা! ক্রুদ্ধ ও স্তম্ভিত রাজে তৎক্ষণাৎ দাদ্দাজিকে নির্দেশ দিলেন মূল মারাঠা সৈন্যদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে

সে এক ভীষণ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রাঙ্গণেই বীর বিক্রমে লড়াই করতে করতে প্রাণ ত্যাগ করলেন ঈশ্বরপ্রভু মারাঠা সৈন্যদল এসে উপস্থিত হল বেলওয়াড়ির সম্মুখে। বেলেওয়াড়ির কেল্লা ঘিরে ধরল তারা। চোখের জল মুছে অস্ত্র ধরলেন রানি, সুদৃঢ় করলেন কেল্লা। সামান্য মাটির কেল্লা তায় তখন বর্ষার শুরু; তাতেও দাঁতে দাঁত চেপে অবরোধ সয়ে রইলেন রানি মালাম্মা। সেই সময়ে দুর্ধর্ষ মারাঠা সৈন্যদের আটকে রাখলেন ২৭ দিন!

ভাবুন একবার! গেরিলা যুদ্ধের ঈশ্বরসম স্বয়ং শিবাজী রাজে আর উল্টোদিকে এক সামন্তরানি! যিনি মারাঠা সেনাদলকে মধ্যরাত্রে ঝটিকা আক্রমণে গেরিলা যুদ্ধে ২৭ দিন ধরে অজস্র বার পরাস্ত করছেন!

 

অন্তিম সমর

 

শিবান্না গা ঢাকা দিয়ে এসেছিলেন রাতের অন্ধকারে। বলেছিলেন, মায়ের পূজা করতে আসবে রাজে। তৎক্ষণাৎ সবকিছু ছকে ফেলেছিলেন রানি! হোক না সে শিবাজী কিন্তু স্বরাজ্যের থেকে বড়ো কিছু নয়! দরকার হলে যাকে ‘ভাই’ ভেবে এসেছেন, তার বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরবেন

মন্দিরে পূজা দিতে দিতেই টের পেলেন ভীষণ এক সংগ্রাম শুরু হয়েছে। পাহাড় ঘেরা এই মন্দিরের বাইরে রক্ষী বেশি নেই। কিন্তু তবুও পূজা সারলেন তিনি। এই সময়টা একান্ত তাঁর। তিনি জানেন, তাঁর মারাঠা রক্ষীদল বুক পেতে তাঁকে পূজা করার সময়টুকু অন্তত ক্রয় করে দেবে। তারপর, যা মা জগদম্বা চাইবেন।

কিন্তু বাইরে বেরিয়ে এসে চমকে গেলেন শিবাজী। ও কারা লড়াই করছে! এ যেন সাক্ষাৎ মা জগদম্বা আর তাঁর চৌষট্টি যোগিনী! ভীষণ অস্ত্র হস্তে নারী যোদ্ধারা লড়াই করে চলেছে। থমকে দাঁড়ালেন শিবাজী, তারপর হুংকার দিলেন!

দাদ্দাজিকে তীব্র ভর্ৎসনা করতে করতে এগিয়ে গেলেন সেই দিকে! দাদ্দাজি বললেন, “আমি তো যখন গেছি যুদ্ধের মধ্য খোলা তরোয়াল হাতে এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি কেবল! আদেশ পালন করে চলেছি।” খুঁজে বের করে নিয়ে আসা হল সেই সেনাপতিকে, যে এই সমরের হোতা। গোহরণকারী। তাকে শাস্তি দিলেন শিবাজী এই অন্যায়-যুদ্ধ করার জন্য!

তারপর নতজানু হয়ে ক্ষমাপ্রার্থী হলেন সেই সামন্তরানির কাছে। ‘মা’ সম্বোধন করে মালাম্মাকে বললেন, “মা, আমি বুঝতে পারিনি, তুমি নিজে লড়াই করতে এসেছ। এ সংগ্রাম তো তোমাদের সঙ্গে ছিল না। এক ভীষণ ভুল বোঝাবুঝি মাত্র। তোমার রাজত্ব আমি চাই না। তুমি মুক্ত ও স্বাধীন রাজা।”

 

ইয়াড়বাড়ের পাথরের গায়ে আজও রক্ষিত আছে সময়ের সে-দলিল! রানি মালাম্মা ইতিহাসের প্রথম রানি, যিনি পাঁচ সহস্র রমণী যোদ্ধাদের নিয়ে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছিলেন!

সে-রাজবংশের সকল কিছুই ধ্বংস হয়েছে কিন্তু রানি জীবিত আছেন মানুষের মুখে মুখে, সময়ের দলিলে এরপর সুদীর্ঘকাল নিজের সন্তানের অভিভাবক হয়ে সুশাসনের সঙ্গে রাজত্ব করেছিলেন বেলওয়াড়ি মালাম্মা।

গ্র্যানাইট পাথরের সুদৃশ্য শিলায় ধরা আছে সে-দৃশ্য। যেখানে রানি আছেন যোদ্ধা বেশে আর স্বয়ং ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ কোলে ধরে আছেন রানির শিশুপুত্রকে। সস্নেহে দুগ্ধ পান করাচ্ছেন শিশুকে। বেশ কিছু খোদাই করাও ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার সবই মুছে গিয়েছে, কোনওমতে এই গ্র্যানাইট শিলাটুকুই রক্ষা করা গিয়েছে। ভাগ্যিস গিয়েছিল। তাই তো ইতিহাস জানতে পেরেছিল এমন এক আশ্চর্য বীরের কথা।

বীরের প্রতি বীরের যথার্থ সম্মান প্রদানের কথা।


 ______________________________________________________________________________

প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান ধারাবাহিকটির আগের পর্বগুলি পড়ুন:

প্রথম পর্ব:  https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post.html

দ্বিতীয় পর্ব:  https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_13.html

তৃতীয় পর্ব:  https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_20.html

চতুর্থ পর্ব:  https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html

পঞ্চম পর্ব:  https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html

ষষ্ঠ পর্ব:  https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post.html

 

 

মন্তব্যসমূহ