প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান - তমোঘ্ন নস্কর
প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান
তমোঘ্ন নস্কর
ষড়বিংশ পর্ব: সিয়াচেন— অপারেশন রাজীব
নিশ্চিন্তে বড়ো আরামে বসেছিল পাকিস্তানি
সৈন্যদল। এই ভয়ানক দুর্যোগের মধ্যে ওই পাহাড়ি ইঁদুরগুলো তাদের আক্রমণ করার সাহস পাবে
না। ঝকঝকে দিনেই যতবার উঠতে চেয়েছে ততবার টিপে মারা হয়েছে। আর আজকে তো ওঠার কোন প্রসঙ্গই
আসে না। ওই নীচ থেকে এখন গুলি চালানোই সার। ও গুলি তাদের গায়েও লাগবে না, তাদের কেশাগ্রও
স্পর্শ করতে পারবে না।
আরাম
করে কম্বলে গা এলিয়ে দিয়ে নিজেদের মধ্যে রসিকতায় মেতে ওঠে তারা, “ভারত ভীরুর দেশ না
হলে আজ তিন বছর ধরে সিয়াচেন দখল করে বসে আছে অথচ উপরে ওঠরা সাহস পাচ্ছে না! ওদের সেই
দম-ই নেই। যখন ওরা উঠেছে, তখন ওটার জন্য হুড়পাড় লেগেছে। এরা বরাবরই এরকম, যা কিছু ওদের
তা-ই ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য এদের বড়ো তাড়াহুড়ো। এইভাবেই কাশ্মীর, পাঞ্জাব, বাংলা সব নিজের
করেছে... শালারা এঁটোখেকো...।”
মুখের
কথা মুখেই রয়ে গেল, রাইফেলের বুলেট এসে ছিন্ন করল তার কণ্ঠদেশ। সঙ্গীরা রাইফেল তুলে
নেয়ার আগেই ঝাঁঝরা হতে শুরু করল তারা। তাদের বিস্ময়ের রেশ তখনও কাটেনি। বাইরে ভয়াবহ
তুষারঝড়, এমন সময় গোটা সিয়াচেন-প্রান্তরে মানুষ তো দূর একটি পশুও দেখতে পাওয়া যায় না।
সেখানে এই খাড়া বরফের দেওয়াল বেয়ে ওরা উঠে এল কী করে! এ যে অসম্ভব! একমাত্র পাহাড়ি
ইঁদুরই এমন অসাধ্য সাধন করতে পারে! কারণ পাহাড়েই তার বাস, পর্বত-আরোহণই তার নিয়তি।
উচ্ছিষ্টের
রসিকতা করা মানুষগুলো বোধহয় জানত না— ‘পাহাড়ি ইঁদুর’ এক অদম্য জেদের নাম; অনেকটা ‘আঙুর
ফল টক’-এর মতো গালাগালি। মুঘল ঐতিহাসিকরা তাদের বাদশাহের দুঃস্বপ্ন ছত্রপতি শিবাজি-মহারাজ-এর
কাছে বার বার পরাস্ত হয়ে তাঁকে ঠিক এই গালাগালিই দিতেন।
আসুন
কাহিনিতে ফেরা যাক। বিগত কয়েকদিন ‘প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান’-এর এপিসোডে আমরা অতীত-কথন
করেছি। এইবারে একটু সাম্প্রতিক সময়ে ফেরা যাক। এই কাহিনি ভারতবর্ষের অন্যতম স্ট্রাটেজিক
পয়েন্ট সিয়াচেন দখলের।
সিয়াচেন
সিয়াচেন অঞ্চল— ভারত ও পাকিস্তানের চিরকালের
দ্বন্দ্বময় ভূখণ্ডে এর অবস্থান। পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি।
১৯৮৪
সালে ‘অপারেশন মেঘদূত’-এর মধ্য দিয়ে ভারত এই অঞ্চল দখল করে। সোনাম ও অমর পয়েন্ট নামে
দু’টি চৌকি প্রতিষ্ঠা করে। ভারতবর্ষ এই দুই পয়েন্টের উপরে উঠতে চায়নি। কারণ সেখানকার
আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ। এবং প্রাকৃতিকভাবেও অঞ্চলটি দুর্ভেদ্য ও অপ্রতিরোধ্য।
কিন্তু
তাদের ভুল প্রমাণিত করে দুই বছর পর ১৯৮৬ সালে পাকিস্তান উচ্চতর স্থানের একেবারে চূড়ায়
একটি পোস্ট গড়ে তোলে, নাম দেওয়া হয় ‘কায়দ পোস্ট’।
এইবার
এই উচ্চতর পাকিস্তানি অবস্থান সল্টোরো-সিয়াচেন এলাকায় ভারতীয় গতিবিধির উপর দখল নিল।
এই অবস্থান থেকে পূর্বে পনেরো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহ খোলা চোখেই দৃশ্যমান
হত।
কিন্তু
করারও কিছু নেই। ভারতীয় চৌকিগুলোর চেয়ে অনেক উচ্চতায় অবস্থিত এই পোস্টে আক্রমণ তো দূর,
প্রায় অগম্য। চারপাশ চারশো পঞ্চাশ মিটার খাড়া হিমপ্রাচীর ঘিরে রেখেছে তাকে। তিনদিকে
৮০ থেকে ৮৫ ডিগ্রি ঢালু, একদিকে কিছুটা কম। কিন্তু তাতে লাভের কিছু নেই। অক্সিজেনের
খাবি খেতে খেতে এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম একপ্রকার অসম্ভব। প্রতি কয়েক মিটার আরোহণের পর
সৈন্যদের থামতে হত, শ্বাসের অভাব মোচনের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই হার্ট রেট এবং অন্যান্য
প্যারামিটার সাংঘাতিকভাবে বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের চান্স থাকত। এবং তা না হলেও এই
৪৫০ মিটার উঠতে গিয়ে যে-কোনও সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের চোখে পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
তার
উপর তুষারঝড় দৃষ্টি প্রায় অন্ধ করে দিত। সময়-সময় সেই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস
পঞ্চাশ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে নেমে যেত। এমন স্থান দখল করা বড়ো চাট্টিখানি ব্যাপার
ছিল না।
২৯ মে, ১৯৮৭,
অষ্টম জ্যাক লাইট ইনফ্যান্ট্রি-র দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট রাজীব পান্ডে মাত্র ১৩ জনের
ছোট্ট একটি দল নিয়ে এই শৃঙ্গ দখলের অভিযানে নেমেছিলেন। নিঃসাড়ে পাহাড়ের গা বেয়ে অজস্র
প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে উঠে গিয়েছিলেন তাঁরা। আর মাত্র ৩০ মিটার, ঠিক তখনই ভেসে
এসেছিল এক ঝাঁক গুলি। নিজেদের রক্ষা করতে পারলেন না তাঁরা।
কিন্তু রেখে গেলেন তাদের অসংখ্য পদচিহ্ন, গেঁথে রাখা তুষারকুঠার
আর একটি মোটা সিলিং বা দড়ি...!
দখল
মেজর বরিন্দর সিং-এর নেতৃত্বাধীন ভারতীয়
সেনাবাহিনী সম্ভব-অসম্ভব সকলপ্রকার দিক বিবেচনা করে এবং রাত্রিকেই নিজেদের ঢাল বানানোর
দুঃসাহসিক পরিকল্পনা করে। যেহেতু লেফটেন্যান্ট রাজীব পান্ডের ফেলে যাওয়ার দড়ি-পথ ধরেই
অগ্রসর হতে হবে, তাই এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন রাজীব’।
দলটিকে
তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়— প্রথম ভাগে স্বয়ং মেজর বরিন্দর সিং, দ্বিতীয় ভাগে দুই সুবেদার
হরনাম সিং ও সংসার চাঁদ এবং তৃতীয় রিজার্ভ দলটি হল সুবেদার বানা সিং।
২৩ জুন ১৯৮৭
প্রথম যাত্রা করার পর বাধ্য হয়ে বেঁচে
ফিরে আসতে হয় মেজর বরিন্দর সিংয়ের বাহিনীকে, কারণ রাজীব পান্ডের ফেলে যাওয়া দড়ি বা
পথনির্দেশ তাঁরা খুঁজে পাননি। উপরন্তু উপর থেকে ক্রমাগত গুলিবর্ষণ তাঁদেরকে এগোতে দিচ্ছিল
না।
মেজর
বুঝতে পেরেছিলেন যে, রাজীব পান্ডের ওই পথটি বুঝে গিয়েছে পাকিস্তানি সেনাদল। তারা ওই
পথে কড়া নজর লাগিয়ে বসে থাকবে। তাই বাধ্য হয়ে এক অসম্ভব সিদ্ধান্ত নিলেন— এই রাত্রিতেই
সল্টোরো-রিজের সাতশো ফুট উঁচু খাড়া (প্রায় ৮৫ ডিগ্রি) হিমপ্রাচীরের প্রায় অগম্য পথ
দিয়েই তাঁরা এগোবেন; যা কেউ কল্পনাতেও আনতে পারে না, তা তাঁরা করে দেখাবেন।
হিমের
পিচ্ছিল ঢালে পা ফসকে যায়, তার ওপর প্রবল বাতাস, অক্সিজেনের তীব্র অভাবে শ্বাসকষ্ট...
থেমে থেমে এগোতে থাকে সৈন্যরা। প্রতি পদক্ষেপেই যেন জীবনের লড়াই। মন্থর, অতি মন্থর
হয় তাদের গতি। দিনের বেলা আরোহণ বন্ধ রাখা হয়, সূর্য ডুবলে আবার শুরু হয় আরোহণ। এইভাবে
পরের রাত্রিতে অর্থাৎ ২৪ জুন তাঁরা সেই ভয়ংকর হিমপ্রাচীর অতিক্রম করে শিখর থেকে মাত্র
দুইশো মিটার দূরে পৌঁছোয়। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সকাল হয়। বরফে গা মিশিয়ে গোটা
দিন অপেক্ষা করে বাহিনী।
২৫
জুন সন্ধ্যা নয়টায় অগ্রগতি পুনরায় শুরু হয়। পাকিস্তানিরা ততক্ষণে তাদের অবস্থান সম্পর্কে
সচেতন হয়ে গিয়েছে। তীব্র গুলির ঝড়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ভারতীয় দল। ২৬ জুন ভোর দুটো
নাগাদ উপর্যুপরি গ্রেনেডের বিস্ফোরণে প্রথম বাংকারটি ধসে পড়ে। কিন্তু তখনও উপর থেকে
ভেসে আসছে এই ক্রমাগত গুলির ঝড়। এতটুকু স্থির হওয়ার অবকাশ নেই। আবার আরোহণ করতে থাকে
বাহিনী। আলো ফুটতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার বাকি, তার মধ্যেই যা-কিছু করার করতে হবে। এ
দিকে দ্রুত নামছে তাপমাত্রা। শরীরের রক্ত জমে যায় যেন, বন্দুকের ট্রিগারের সঙ্গে আঙুলের
চামড়া ছিঁড়ে উঠে আসবে যেন। তবুও এগিয়ে যান তাঁরা।
ভোর
পাঁচটা নাগাদ ৮৪ এমএম রকেট লঞ্চারের মুখে দ্বিতীয় বাংকারটি ধূলিসাৎ হয়। কিন্তু এরপর
স্ট্রাটেজি বদলানোর প্রয়োজন পড়ে। কারণ ততক্ষণে ভারী তুষারঝড় শুরু হয়েছে। তুষারঝড়ের
আড়াল যদি নেওয়া যায় তা হলে আজকের মধ্যেই তৃতীয়টিকে উদ্ধার করা যাবে।
দ্বিতীয়ত,
তাপমাত্রা খানিকটা বাড়াতে ভারতীয় বন্দুকগুলিও কাজ করতে শুরু করেছিল। এবং নীচ থেকে যতটা
অনুমান করা যাচ্ছিল, কায়দ পোস্টে খুব বেশি হলে ৭ থেকে ১৭ জন পাকিস্তানি সৈন্য আর অবশিষ্ট
রয়েছে। এবং তাদের গোলাগুলির রসদ কমে আসছে। অতএব যা করতে হবে আজকেই করতে হবে। যেমন ভাবনা
তেমন কাজ।
৮
জন পয়েন্টটি হোল্ড করে সার্পোটিভ ফায়ারিং জারি রাখেন।
নায়েব
সুবেদার বানা সিং-এর নেতৃত্বে ক্ষুদ্র দল হামাগুড়ি দিয়ে এগোয় শেষ বাংকারের দিকে। সে
এক অসাধ্য সাধন। আইস পিক নিয়ে তীব্র তুষার ঝড় উপেক্ষা করে একটু একটু করে খাড়া দেওয়াল
বাইতে থাকেন তাঁরা। আনুমানিক ২৬ জুন দুপুরে তাঁরা কয়েদ পোস্টে এসে পৌঁছোন। আচম্বিত
আক্রমণে হতবিহ্বল হয়ে গেল পাকিস্তানি সৈন্যরা।
কিন্তু
বিপদ বাঁধল অন্য দিক থেকে। তুষার ঝড়ের সুবিধা নিয়ে তাঁরা পৌঁছে তো গেলেন, আক্রমণও করলেন,
কিন্তু গুলি করতে গিয়ে বুঝলেন আবার বন্দুক কাজ করছে না। ঠান্ডা আবার বেড়েছে এবং বন্দুক
জ্যাম হয়ে গেছে।
অসাধ্য
সাধন করলেন বানা সিং। নিজের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে গ্রেনেড খুলে ছুড়ে দিলেন বাংকারের
ভিতরে। তীব্র বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল পাকিস্তানি সেনাদল। অবশিষ্টদের উপরে এই
পাঁচজন ঝাঁপিয়ে পড়লেন বন্দুকের বায়নেট খুলে। মুখোমুখি হাতাহাতি সংঘর্ষে অবশেষে ধরাশায়ী
হল পাকিস্তানি বাহিনী।
২৬
জুন বিকেল চারটেতে ভারতীয় পতাকা উঠল কয়েদ পোস্টের শিখরে। শত্রুর উপর স্ট্র্যাটেজিক
অর্থাৎ কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল।
অসমসাহসিকতা
ও কৃতিত্বের জন্য বানা সিং-এর নামেই নাম দেওয়া হল এই পোস্টটির— বানা পোস্ট।
তবে
পাকিস্তানি সৈন্যদের এতটুকু অসম্মান করেনি ভারতীয় বাহিনী। কারগিলের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের
পর মৃতদেহগুলি প্রত্যর্পণ করা হয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে।
সমান্তরাল অগ্রসরে
ব্যর্থতা ও বলিদান
এই সময় একটি কথা বলে রাখা ও স্মরণ করা
প্রয়োজন।
দ্বিতীয়
যে বাহিনীটি ছিল অর্থাৎ হরনাম সিংহের বাহিনী, তাঁরা রাজীব পান্ডের ফেলে যাওয়া পথনির্দেশ
ধরে সমান্তরালভাবে অগ্রসর হতে পেরেছিলেন। যখন মোটামুটি বেশ খানিকটা পথ অগ্রসর হয়েছেন,
এইবার দৃশ্যমান হয়ে পড়েন তাঁরা। এবং গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু প্রত্যুত্তর দিতে গিয়ে
পড়েন বিপদে। ভীষণ ঠান্ডায় বন্দুক জ্যাম হয়ে গেছে। একপ্রকার অসহায়ভাবেই শেষ হয়ে যায়
বাহিনীটি। পরবর্তীতে জানা যায়, মাইনাস ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় নিজেদের বন্দুকগুলিকে ক্রমাগত
স্টোভের মধ্যে গরম করে সচল রাখত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
ব্যর্থ
হয়ে ২৪ জুন হরনাম সিংহের দলটি নেমে এলেও তার পশ্চাতে সংসার চাঁদের দলটি ক্রমান্বয়ে
অগ্রসর হচ্ছিল।
সংসার
চাঁদের নেতৃত্বে দলটি দ্বিতীয় বাংকার দখলের দিকে না গিয়ে পাশ থেকে সরাসরি তৃতীয় এবং
একদম উচ্চতম অবস্থানের কয়েদ পোস্ট দখল করার চেষ্টা চালান। রাত্রির গভীর অন্ধকারে নীচে
যে-সময় দ্বিতীয় বাংকার দখল হচ্ছে তার আশেপাশে সময় তিনি পোস্টের কাছাকাছি পৌঁছেও যান।
তাঁর অবস্থান বুঝতে পেরেই শুরু হয় ভারী গোলা-বর্ষণ। রেইন ফোর্সমেন্ট অর্থাৎ সহকারী
দল পাঠানোর জন্য আবেদন জানাতে বার্তা পাঠান উদ্যোগী হন তিনি, কিন্তু ততক্ষণে রেডিয়ো
একটি ভারী আঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে পিছু ফিরে আসতে হয় তাঁদের। না-হলে হয়তো
২৬ জুন ভোরবেলা আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই দখল হয়ে যেত কয়েদ পোস্ট।
***
এই একটি পোস্ট দখল করতে গিয়ে যে কী পরিমাণ
রক্তক্ষয় হয়েছে তা আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি। অসংখ্য তাজা প্রাণের বলিদান দিয়ে তবে
ওই অংশকেই সুরক্ষিত করতে হয়েছে। কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত সুরক্ষিত হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে
আমাদের সুরক্ষিত করতে গিয়ে এভাবেই আমাদের বীর জওয়ানরা তাঁদের প্রাণ বলিদান দিয়ে চলেছেন।
বুক পেতে আড়াল করে চলেছেন আমাদের। এত অল্প পরিসরে অক্ষম কলমে তুলে ধরা সম্ভব নয়। কিন্তু
তবুও চেষ্টা করা। কারণ একটাই— এই সমস্ত মিলিটারি ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন। এতে নাগরিক
কর্তব্য এবং দায় খানিকটা হলেও প্রভাবিত হয়।
___________________________________________________________________________
প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান ধারাবাহিকটির আগের পর্বগুলি পড়ুন:
প্রথম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post.html
দ্বিতীয় পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_13.html
তৃতীয় পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_20.html
চতুর্থ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html
পঞ্চম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html
ষষ্ঠ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post.html
সপ্তম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_12.html
অষ্টম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_19.html
নবম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_27.html
দশম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_27.html
একাদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_88.html
দ্বাদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_15.html
ত্রয়োদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_24.html
চতুর্দশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_30.html
পঞ্চদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/09/blog-post.html
ষোড়শ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/09/blog-post_13.html
সপ্তদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/09/blog-post_20.html
অষ্টাদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/10/blog-post_11.html
ঊনবিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/10/blog-post_25.html
বিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/11/blog-post.html
একবিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/11/blog-post_8.html
দ্বাবিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/11/blog-post_16.html
ত্রয়োবিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/11/blog-post_22.html
চতুর্বিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/11/blog-post_29.html
পঞ্চবিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/12/blog-post.html

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন