প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান - তমোঘ্ন নস্কর
প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান
তমোঘ্ন নস্কর
পর্ব ৮: কাশ্মীরি কোটা!
১৩৩৮-এর এক
শীতার্ত ভোর
অচলা সৈন্যবাহিনীকে
থামতে আদেশ দিলেন। তাঁর গুপ্তচর খবর দিয়েছে, উদয়ন দেব পাহাড় থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। সম্মুখে যারা আছে, তারা কেউই তাকে আটকাতে পারবে না।
দুই দলের মাঝখানে থমকে দাঁড়ায় সময়। এই দিকে দুর্দান্ত তাতার সেনাপতি অচলা আর অন্য
দিকে এক নারী। হাসি খেলে যায় অচলার ঠোঁটে…
সরুপথের চড়া খাড়াইয়ে নীচ দিয়ে সগর্জনে প্রবাহিত হচ্ছে দুর্বার স্রোতস্বিনী, বিস্তা। খট… খট… খট… ধীর মন্থর গতিতে অতি সন্তর্পণে এগিয়ে আসতে
লাগল একটার পর একটা পাহাড়ি ঘোড়া।
তারা জানতেও পারল না তাদের মাথার উপর বরফ ধবল পাহাড়ের গা বেয়ে ওঠা ধোঁয়া কুয়াশায়
গা ঢেকে পাহাড়ের খাঁজে, ঢালু পথের
কিনারায় জমে আছে ওরা!
কয়েক মুহূর্ত
পর
সেই পাহাড়ি পথটা
জুড়ে এখন কেবলই ধ্বংস-চিহ্ন। রক্তে রঞ্জিত পাথুরে মাটি, ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আছে। তাতার সৈনিকের দেহের উপর
উল্লাসে ভোজসভা বসিয়েছে চিল-শকুনের দল। সওয়ারিহীন ঘোড়ার দল অবাক বিস্ময়ে নিজেদের মুখ
দেখছে মালিকের ফেলে যাওয়া তরোয়ালের ইস্পাত-ফলায়… তারা যুদ্ধের ঘোড়া-সহ অনেক কিছুই
দেখেছে। কিন্তু আজকের মতো এমন ঝটিকা আক্রমণ তারাও বুঝি কল্পনাতে আনেনি।
গতরাতের কথা
প্রাসাদের উত্তর
প্রবেশদ্বার দিয়ে হুড়মুড়িয়ে পালাচ্ছেন উদয়ন। স্ত্রী আর সন্তান ফেলে পালাচ্ছেন তিনি। আপনি
বাঁচলে পিতার নাম। সন্তানক্রোড়ে কাঁপতে কাঁপতে অভিশাপ দিয়েছিলেন রানি, “মহারাজ! প্রজারা দেখল, আপনি পালালেন। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে, অন্তত আমি চেষ্টা করব, ইতিহাস যাতে লোহারার কাপুরুষ দু’টিকে
ভুলে যায়!”
উদয়ন থামেন না। অন্ধকারে মিলিয়ে যান। হ্যাঁ, ইতিহাস থেকে হারিয়েও যান।
গুপ্তচর এসে খবর দিয়েছিল অচলার শিবিরে। নিজের জয় সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন অচলা কিন্তু
তখনও জানতেন না…
***
প্রাসাদের পূর্ব দিক দিয়ে
পথ সরু আর দুর্গম। কিন্তু এই ঘাঁটিটাই তাঁর তুরুপের তাস। সেনাপতি শাহমীরের সঙ্গে
পরিকল্পনায় বসলেন রানি। যেভাবেই হোক অচলা-সেনাবাহিনীকে এই সরুপথেই আনতে হবে, তবেই কার্যসিদ্ধি করা যাবে। প্রয়োজনে তিনি নিজেকে টোপ
হিসাবে ব্যবহার করবেন।
সবাই তাঁকে পেতে চায়, এটা তিনিও ভালো
মতনই জানেন। সেটাই করলেন তিনি। পাঠানো হল সংবাদ।
রানি পূর্ব দুয়ারে অচলার জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি এলে রানি তাঁকে পতিরূপে বরণ করবেন এবং
এই সিংহাসন হবে তাঁর।
***
দূরবীক্ষণে চোখ রেখে
উৎফুল্ল হলেন অচলা। ওই তো দ্বারশীর্ষে দাঁড়িয়ে আছেন রানি। পরনে যোদ্ধৃবেশ নয়। রাজকীয়
পোশাক, শৃঙ্গার আহ্বান…
অবশ্য আশেপাশের অল্প কিছু সেনা সমাবেশ দেখা যায়। অভিজ্ঞ অচলা অনুমান করেন, এরা এত সহজে হার স্বীকার করতে চায় না।
এরকম সব যুদ্ধেই হয়। কিছু আহাম্মক বৃথা প্রাণ দেয়। হয়তো সামান্য বাধা দেবে। তবে
যেখানে রানি নতি স্বীকার করেছেন, সেখানে এদের
বাধা দেওয়া যে
মৃত্যুকে ডেকে আনা তা হতভাগারা বোঝে না!
***
শনৈঃ শনৈঃ এগিয়ে
আসতে থাকে বাহিনী। হঠাৎ করেই পূর্ব দিক থেকে আসে এ ঝোড়ো হাওয়া। মেঘ আর কুয়াশায় ঢেকে
যায় চরাচর। সূর্য ঢাকা পড়ে যায়, ঝিলিক দিয়ে
ওঠে রানি আর তাঁর সৈন্যদের চোখে। এই হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন রাজগুরু ও
আবহাওয়াবিদ।
রানি দৃঢ় অথচ চাপা স্বরে বললেন, “যে-রাজা সিংহাসন রক্ষা করতে পারেন না, তাঁর রাজা হয়ে বেঁচে থাকাটাই লজ্জার।
আমরা শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে এই মাটি রক্ষা করব, চিনারের মতো মাথা উঁচু রেখে!”
শত সৈনিক মাথা নাড়ে, নিঃশব্দে
তরবারি উঁচু করে সম্মতি জানায়। তারপরে চড়তে থাকে পাহাড়ের খাঁজে।
***
দুর্গম পথের ভিতর দিয়ে
ধীর মন্থর গতিতে আসছিল তাতার সেনারা। চতুর্দিক থেকে মেঘ ডাকার মতো আওয়াজে চমকে উঠল সবাই।
কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ঘড়ঘড় শব্দে গড়িয়ে আসছে ভারী পাথর। মুহূর্তের
মধ্যে ছত্রভঙ্গ করে দিল বাহিনীটাকে। সামলে নেওয়ার আগেই শুরু হল ভীষণ তিরবৃষ্টি!
কতজন যে নদীর খাদে গড়িয়ে গেল! কতজন পিষে গেল পাথরে; তার ইয়ত্তা নেই। বিশ্বাসঘাতকতা! সংঘবদ্ধ হওয়ার
চেষ্টা করল তাতার বাহিনী। তাদের চোখে আবার ফিরে এসেছে হিংস্রতা, মুখে যুদ্ধের গলা-বাদ্য।
রানি ঘোড়ায় চড়ে সৈন্যদের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। তাঁর কণ্ঠে বজ্রনিনাদ। শত সৈন্য সহস্র হয়ে লড়ল
সেদিন। রক্তে, ধুলোয়, ঘামে মিশে যায় যুদ্ধের তীব্রতা। রানির
পাশে ঢাল হয়ে দুই
সেনাপতি— শাহমীর আর ভট্ট ভীষণ।
সহসাই আর্তনাদ জাগে অচলার বাহিনীতে। কুয়াশা ভেঙে রোদের আলো বেরিয়ে আসে। পাথুরে মাটির
উপরে ভল্লের ডগায়, বিস্ফারিত
নয়নে চেয়ে রণ-অচলার কর্তিত শির! বরফ পাহাড়ে আগুন জ্বালায় সৌরশিখা, সে- আগুনের রেখা স্পর্শ করে রানির
মুকুট। রামচন্দ্রদেবকন্যা কোটারানি, তিনি কোনও
রাজার স্ত্রী নন। একজন স্বাধীন একার্থ রানি হিসাবে কাশ্মীরের স্বাধীনতা তাঁকে অভিবাদন
করে।
পাহাড়ঘেরা কাশ্মীর উপত্যাকাতলে জন্ম নিল এক নতুন ইতিহাস—
কশ্যপমীড়ে যখন রাজার পতন হয়, তখন রানি যুদ্ধ
করে। দিদ্দা থেকে কোটা, এই ধারা এ-ভূমের
নিজস্ব।
তবে এই মহীয়সী রানির কাহিনি শুরু আরও কয়েক বছর আগে থেকে। লোহারা বংশ
দ্বিতীয়বার কাশ্মীরে
শাসনভার নেওয়ার পর খানিকটা টালমাটাল হয়েছিল। রাজা সুহাদেব যখন সিংহাসনে, তখন কিন্তু কার্যত লেহ-র অধিকর্তা
রামচন্দ্রদেবই রাজত্ব শাসন করেন।
১৩১৩
দুর্ধর্ষ তাতার দস্যু
দালেচা এসে দাঁড়াল কাশ্মীরের প্রান্তরে। রাজা সুহাদেব পালিয়ে গেলেন প্রাসাদ ছেড়ে।
কাশ্মীরে লক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণ হাহাকার করে উঠলেন, মঙ্গলরা নির্দয় নিষ্ঠুর।
ত্রান কর্তা হয়ে দাঁড়ালেন রামচন্দ্র, সঙ্গে দুই অসম
সাহসী তরুণ— রিংচেন ও শাহমীর এবং তাঁর কন্যা কোটা। দালেচাকে পাহাড়ের ওপার অবধি ঠেলে দিয়ে
লেহ-লাদাখকে সুরক্ষিত করলেন।
১৩২০
অবাক বিস্ময়ে
রিংচেনের হাতের কুঠারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন রামচন্দ্র। যে-মানুষটাকে তিনি নিজে হাতে গড়ে
তুললেন, থাকার জায়গা
দিলেন সে-ই এমন করল!
রিংচেন সেই দুর্ধর্ষ যোদ্ধা, যে সেদিন
কাশ্মীরের মানুষের জন্য অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে ছিল রামচন্দ্রের পাশে। সেই দিন, সেই যুদ্ধের পর রামচন্দ্রদেব একচ্ছত্র
অধিপতি হয়ে উঠেছিলেন
কাশ্মীরের। আর সেই দিন থেকে এই রিংচেন আর তার সেই সহকারী শাহমীর প্রতি মুহূর্তে
নিজেদের ভিতরে লালন করে চলছিল কাশ্মীরের অধিপতি হওয়ার লোভ। আর সেই সঙ্গে সুন্দরী কোটা-কে পাওয়ার উদগ্র বাসনা।
সবার অজান্তেই নিজের লাদাখি আর তিব্বতি বন্ধুবান্ধবদের একত্রিত করে গড়ে তুলেছিল
সৈন্যদল। তার উপর কাশ্মীরে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসা বুলবুল শাহের সাহচর্য পুরাতন
রিংচেনের ভিতর আমূল পরিবর্তন ঘটাচ্ছিল।
সেই দিন গভীর রাতে প্রবেশ করলেন লাদাখের কেল্লায়। রাজা রামচন্দ্রদেব তখন নিশ্চিন্ত
নিদ্রায়, গুনাহ করে ও
নিজের সহচরদের অবিশ্বাস করতে পারেন না অথচ তারাই…
কোটা ছিলেন সেই পরিবারের একমাত্র জীবিত বংশধর। তাঁর ইচ্ছার-ই বা দাম ছিল কতটুকু। রিংচেন
সিংহাসনে বসল। তিনি হলেন পাটরানি কিন্তু সবচাইতে অবাক ঘটনা ঘটল এবার। রিংচেন উপাধি
নিলেন শাদরুদ দীন শাহ।
সবার অজান্তে বৌদ্ধ লাচেন রিংচেন ভটি ইসলাম ধর্ম পরিগ্রহণ করেছিলেন।
শাসনকাল বড়ো অস্থির সময়। ব্রাহ্মণদের উপরে অত্যাচার আর আর্তনাদে কান পাতা দায় হয়ে
পড়ছিল। তার উপর শাহমীরের সাহচর্য রিংচেনকে ক্রমশই শক্তিশালী করে তুলছিল। বুলবুল শাহ
সুফি ভাবধারার মানুষ ছিলেন অথচ রিংচেন তাঁরই শিষ্য হয়ে ভয়ংকর ক্ষমতালিপ্সু দানবে পরিণত
হচ্ছিল।
***
ঠিক যেভাবে রাতের
গভীরে আঘাত হেনেছিল তাঁর পিতার কক্ষে, সেভাবেই আঘাত হানল দস্যুদলটা। সেই দিন কেল্লার দরজা খুলে দিয়েছিলেন রানি
স্বয়ং! অবাধ প্রবেশের পাঞ্জা যে তাঁরই হাতে। এই কেল্লায় তিনি শিশুকাল থেকে বড়ো
হয়েছেন। এর প্রতিটা কক্ষ তাঁর চেনা। নিঃসাড়ে প্রবেশ করেছিল উদয়ন দেব আর তাঁর বিশ্বস্ত রক্ষী
দল।
ক্রমাগত ব্রাহ্মণদের কান্না এসে তাঁকে নাড়িয়ে যাচ্ছিল। নিজেকে বড়ো ব্যর্থ আর অসহায় মনে
হচ্ছিল কোটার, তা-ই
জানিয়েছিলেন উদয়নকে। সাহুদেবার ভাই উদয়নদেবা… গান্ধারের
অজ্ঞাতবাস থেকে আর-একবার
লোহারা বংশের সত্য নিয়ে হাজির হল কশ্যপমীড়ের প্রান্তে…
আক্রমণ প্রতিহত করলেও রিংচেন বাঁচল না। কিন্তু নিজে পত্নী কোটাকে বিশ্বাস করতে পারল না।
তাদের পুত্র হায়দার-এর সিংহাসনের উত্তরাধিকারী রূপে দায়িত্ব দিয়ে গেল শাহমীরকে।
***
১৩২৩
সিংহাসনে বসেছেন উদয়নদেবা আর তাঁকে বিবাহ
করে আবার পাটরানি হলেন কোটাদেবী। শৃগালের ন্যায় ধূর্ত শাহমীর বুঝেছিলেন, এ সময় বিদ্রোহের নয়। বরং হিন্দুপ্রধান
এই কাশ্মীরভূমে নিজের দলমত তৈরি করতে হবে কারণ সে-সময় সদ্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা শুরু
করেছে কাশ্মীরের মানুষজন। তাও বুলবুক শাহের হাত ধরেই…
তার মধ্যে এই ইসলামে পরিবর্তিত রিংচেনের অত্যাচার মানুষকে ভাবিত করে তুলেছিল। ফলে তার মতো
একজন আফগান মুসলমানের জন্য মানুষের সমর্থন পাওয়া সমস্যার।
রাজার বিশ্বস্ত হয়ে অপেক্ষা করে গেলেন শাহমীর। তারপর সেই আক্রমণ দুর্ধর্ষ তাতার দস্যু
আচলা, এসে দাঁড়াল
তাঁদের দরজায়। উদয়নদেবা নিজের স্ত্রী ও
পুত্র, নগরবাসীকে ছেড়ে
পালালেন অজ্ঞাতবাসে।
সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর সিংহাসনে একচ্ছত্র অধিকারী হলেন কোটারানি আর সময়ের
অপেক্ষায় তাঁর বিশ্বস্ত সহচর হয়ে রইলেন শাহমীর…
১৩৩৮
আঁধারকোটের কেল্লায়
মসমসিয়ে ঢুকলেন শাহমীর। হাতের ভল্লে গাঁথা ভট্ট ভীষণের মাথা…
অন্দরে ঢোকার মুখে দুই হাতে তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। রক্তাক্ত দীর্ণ… না, তিনি বলার দরকার নেই। এই নারীর সকল অহংকার শাহমীর পায়ে ডলে
গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এই নারী হয়
বশ্যতা স্বীকার করবে নচেৎ…
কোটারানিকে বশ্যতাই স্বীকার করতে হল। প্রাণপণে বাধা দিতে চেয়েছিলেন ইসলামের এই আগ্রাসন।
কিন্তু নিজের ঘরেই একটু একটু করে বেড়ে উঠছিল বিরোধী, তিনি বুঝতেই পারেননি। যেদিন বুঝতে পেরেছিলেন, শাহমীরের বদলে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন
ভট্ট ভীষণকে, তাঁর আর উদয়নদেবার
সন্তানকে ভট্টের ছায়ায়
বড়ো করতে চেয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, ন্যায্য উত্তরাধিকারীর হাত ধরে আর-একবার লোহারা বংশ প্রতিষ্ঠা পাক, নচেৎ অদূর ভবিষ্যতে ইসলাম গ্রাস করবে
কশ্যপভূমিকে। কিন্তু পারলেন
না!
নিজের দুই পুত্রকে বাঁচাতে তীব্র অনিচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলেন রানি। তাঁকে বলপূর্বক বিবাহ
করলেন শাহমীর। বিবাহের রাতেই আত্মহত্যা করেন রানি কোটা। শাহমীরের হাত ধরে সূচনা হল
কাশ্মীরের প্রথম সুলতানি আমলের। আড়াইশো বছরের সুলতানি শাসনের সেই ছিল সূত্রপাত।
এই ইতিহাস আর কতজন মনে রেখেছে! কেবল কোটা নালা (কোটা খাল) তিরতির করে বয়ে নিয়ে চলেছে রানির স্মৃতি।
______________________________________________________________________________
প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান ধারাবাহিকটির আগের পর্বগুলি পড়ুন:
প্রথম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post.html
দ্বিতীয় পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_13.html
তৃতীয় পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_20.html
চতুর্থ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html
পঞ্চম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html
ষষ্ঠ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post.html
সপ্তম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_12.html
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন