প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান - তমোঘ্ন নস্কর
প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান
তমোঘ্ন নস্কর
দ্বাবিংশ
পর্ব: যবন-মর্দিনী
হুহু করে রুক্ষ
বাতাস বইছে নদীর চড়ায়। উদ্ভ্রান্ত এক ব্রাহ্মণ যুবক মাথা কুটে
মরছে তাতে। বারবার মাথা ঠুকতে ঠুকতে, মাথা ফেটে গিয়েছে। রক্ত গড়িয়ে ভিজিয়ে
দিয়েছে হলুদ হয়ে আসা মরা ঘাসভূমি।
উদ্ভ্রান্ত
যুবকটি একবার সামনের দিকে ছুটে যায় আর-একবার পিছন দিকে ছুটে আসে। আর কারওর নাম ধরে এই
চিৎকার করে যায়।
এই যুবককে যারা
চেনে তারা জানে এ কোনও
সাধারণ যুবক
নয়। এই গোটা অঞ্চলের তার্কিক শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত শিরোমণি। এমতি যুবকের এমন অবস্থা হল কেন? উত্তর নেই… উদ্ভ্রান্ত যুবকটি
যেন পাগলপারা।
শেষে পড়ে থাকা
শুকনো একখণ্ড পাথর নিজের
উত্তরীয় দিয়ে
বেঁধে কণ্ঠে প্যাঁচ দিয়ে জলে ঝাঁপ দিতে উদ্যত হয় সে-যুবক। আর ঠিক তখনি বৃষস্কন্ধ এক
বৃদ্ধ এসে হাত ধরলেন তার…
যুবক হাত
ছাড়িয়ে নিয়ে জলে ঝাঁপ দিতে যায়। কিন্তু সে-বৃদ্ধের শক্ত মুষ্টি আরও শক্ত হয়ে বসে। তার
কবজির উপর হাত সে কিছুতেই ছাড়াতে পারে না। সে কাকুতিমিনতি করে, “আমায় ছেড়ে
দিন। আমি মুক্তি চাই। আমি ঘরে ফিরতে পারব না। আমি নিজের পত্নীকে রক্ষা করতে পারিনি, আমার মুখ
দেখানোর কোনও জায়গা নাই।”
বৃদ্ধ জবাব দেন
না, কেবল
বজ্রমুষ্টিতে
হাত ধরে থাকেন।
যুবক অস্থির হয়ে বলে চলে,
“আপনি কে? আপনি কেন-ই বা
আমাকে আটকাতে চান…?”
এইবার মুখ
খোলেন বৃদ্ধ, “তোমার লজ্জা হওয়া উচিত—
তুমি নিজের কন্যাকে রেখে,
তাকে অসহায় করে
আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছ কাপুরুষের মতো। তোমার কন্যা কেঁদে কেঁদে ফিরছে। ভাগ্যিস সে আমাকে
দেখতে পেয়েছিল, না-হলে আজ তো তুমি…!”
উদ্ভ্রান্ত
যুবক এবারে আরও উদ্ভ্রান্ত হয়ে পাগলের মতো হয়ে যায়, “আমার কন্যা! আমি সদ্য বিবাহিত। আমার সংসার উজাড় করে
দিয়েছে এই দুষ্ট পাঠানরা। আমার কন্যা কোথা হতে আসবে…?”
ভুরু কুঞ্চিত
হয়ে যায় বৃদ্ধের,
“তা হলে
ও কে? বনের পথ থেকে
ওই কন্যাই তো আমাকে ডেকে ফিরিয়ে নিয়ে এল! বলল, ‘আমার বাবার সাংঘাতিক বিপদ ঘটতে চলেছে, আপনি রক্ষা করুন।’ তাই তো আমি ছুটে ছুটে এলাম!”
‘ওই তো, আমার পিছনেই ও
দাঁড়িয়ে আছে,’— বলে ঘাড়
ঘোরালেন বৃদ্ধ। মস্ত ফাঁকা চড়ায় কেউ কোথাও নেই। সুবিশাল চড়ায় বয়ে চলেছে রুক্ষ উত্তুরে বাতাস।
গাছের ডালপালায় ফাঁকফোকর গলে সাঁইসাঁই আওয়াজ তোলে বাতাস— যেন কেউ অট্টহাসি করে চলেছে
অলক্ষে!
এইবার যুবক
শান্ত হয়। বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করে,
“আপনি কে?”
বৃদ্ধও হাতের
মুষ্টি ততক্ষণে আলগা করে
নিয়েছেন। জবাব
দেন, “আমি কায়স্থ
কুলতিলক দস্যু শিরোমণি গোবিন্দ সিংহ, পাঠানদের সঙ্গে আমার লড়াই দীর্ঘদিনের। তবে কী স্বয়ং তিনি আমাদের সাক্ষাৎ
করালেন!”
যুবক বলল, “হ্যাঁ, তিনি আমার মা
কালিকা।”
ধীরে ধীরে এই
যুবকের কাছে সকলকিছুই পরিষ্কার হয়। তার মানে ইনিই শ্রীপুরের সেই দস্যু-সরদার। খানিকটা ঘৃণা
আসে তার। একজন দস্যুর সঙ্গে হাত মেলাবে!
কিন্তু তবুও
সময় এমনই এসেছে যে,
কেবলমাত্র শাস্ত্রপাঠে
সবটুকু হবে না, শস্ত্র ধারণ
করতেই হবে। ভগবান পরশুরাম ব্রাহ্মণ হয়েও ক্ষত্রিয় হয়েছিলেন।
কালাপাহাড়ের
আমলে প্রভূত অত্যাচার তারা দেখেছে। দাউদ শাহ করনানি-ও কিছু কম যাচ্ছেন না। নিজেদের
ঘরদুয়ার, নিজেদের
শাস্ত্রচর্চা
নির্বিঘ্ন করতে
গেলে নিজেদেরকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। আজ তার পত্নীর মতো শত শত বাঙালি নারী দুরুদুরু
বুকে হয়তো তার দিকেই চেয়ে রয়েছে। না, এ অন্যায়ের ক্ষমা হয় না। এর প্রতিশোধ পতি
হিসাবে তাকে নিতেই হবে। না-হলে স্বামী হিসাবে সে অধঃপতিত হবে।
বৃদ্ধের সঙ্গে
শ্রীপুরের জঙ্গলগড়ে প্রবেশ করল সেই যুবক। পিছনে পড়ে রইল তার সকলকিছু, মায় ‘পণ্ডিত
শিরোমণি’ উপাধি।
বেণীমাধব রায়
সে-দিন থেকে একটা নতুন পরিচয় নিলেন…।
***
বীর যোদ্ধাগণ
বা দস্যু যে-নামেই তাদের অভিহিত করা হোক, তারা দুয়ারের অন্ধকারে গা মিশিয়ে দাঁড়িয়ে রইল, যাতে তাদের
ছায়া মহিলাদের স্পর্শ করতে না-পারে। একে একে পুর-নারীগণ প্রাসাদ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। এবং যাবার
আগে এক বৃদ্ধা নারী এগিয়ে এলেন। সবাইকে অবাক করে বিধর্মী কাফের যুবকটির চিবুক ধরে
চুম্বন করে তিনি বলে গেলেন,
“ভালো থেকো বাবা। এই মা তোমাকে আশীর্বাদ দিয়ে গেল যে, ধর্মের নারী
প্রতি অপমান হলে,
তাকে তার বাবা
হয়ে তুমি রক্ষা করে যাবে আজীবন।”
***
বাদশাহ এবং
ফৌজদারের সৈন্যরা রীতিমতো পাহারা দিচ্ছিল প্রাসাদ। ডাঙার পথ দিয়ে
সেখানে আসা প্রায় অসম্ভব— অনেকখানি পথ তারা আলোকিত করে রেখে দিয়েছে মশাল এবং
কাঠকুটো জ্বালিয়ে। যতই চেষ্টা করুক, অন্ধকারে গা মিশিয়েও দস্যুদল ধরা পড়ে যাবে তাদের
হাতে। তা ছাড়া ফৌজদার জেকি খাঁ নিজের আত্মীয়ের ঘর বলে এখানে যাদের নিযুক্ত করেছে, তারা শিক্ষিত
সেনানি। সুলতান দাউদ শাহ করনানি যুদ্ধপ্রিয় রাজা, তাঁর সব সেনানিই সুশিক্ষিত। যা করতে হবে অতর্কিতে…!
বড়ো বটগাছটায়
উঠে বুদ্ধি স্থির করছিল
চণ্ডীচরণ৷ আচমকাই কোটর থেকে
জেগে উঠল একখানা পেঁচা। চমকে উঠতে আর-একটু হলে পড়ে যাচ্ছিল সে। কিন্তু সেই
আওয়াজেই সচকিত হয়ে এগিয়ে এসেছে দু’জন যবন সৈন্য। কোনওমতে এক গাছ থেকে আর-এক
গাছে লাফিয়ে নিজের প্রাণ রক্ষা করল সে…।
***
নিঃশব্দে
কয়েকটা ছিপ এসে লাগল গড়ের গায়ে। স্থলভূমি আলো দিয়ে আলোকিত করা
গেছে, কিন্তু এই কালো
বিলের জল আলোকিত করা অসম্ভব। ঘরের উপরে অনেকগুলি মশাল রয়েছে বটে, কিন্তু তার আলো
বিলের জল অব্দি এসে পৌঁছোয় না। নিঃশব্দে দেওয়াল বেয়ে টিকটিকির মতো
উঠে গেল কয়েকজন লোক। তারপর দারুণ কসরতে জানলায় লোহার গড়া দিয়ে বেঁধে দিল রশি।
***
অসহায় ব্রাহ্মণ
কন্যাটি দেওয়ালের কোণে চুপটি করে বসেছিল। এতক্ষণ ধরে অনেক
কাকুতিমিনতি করেছে,
অনেক ক্রন্দন—
তারপর বুঝেছে এই পাঠানের কাছে কিছু প্রার্থনা করা যায় না।
একের পর এক
বস্ত্র খুলে তার দিকে এগিয়ে আসছে সেই নরপিশাচ। শেষবারের মতো নিজের মা ও বাপের মুখখানি
স্মরণ করল সেই বালিকা। হয়তো এই তার শেষ। এ পিশাচটি কি তাকে একপাত্র বিষও দেবে না, তার নারীত্ব
শেষ করার পর একেবারে
নিঃশেষ হওয়ার
জন্য…!
কিন্তু তার
আগেই ভীষণ বজ্রপাতের আওয়াজে চমকে গেল সে। থরথরিয়ে কেঁপে উঠল পায়ের তলার মাটি।
প্রদীপের ম্লান আলোয় দেখতে পেল— অগ্রসর হওয়া নরপিশাচটার লোলুপ দৃষ্টি কেমন যেন ভীত ও
আতঙ্কিত। তাড়াতাড়ি নিজের বস্ত্র জড়িয়ে দরজা খুলে রেখেই ছুটে বেরিয়ে গেল সে। তারপর কেবল… তারপর জেগে রইল
কেবল অসির
ঝঞ্ঝনা আর
হাহাকার।
অনেক পরে দুইজন
মানুষ প্রবেশ করলেন তার
ঘরে। তাদের
গলায় পৈতা। সম্ভ্রমে তাকে দেখে মাথা নিচু করলেন তারা, “মা জননী, আপনি
নিশ্চিন্তে
বাড়ি যান।
অথবা আমরা পৌঁছে দেব।”
তাদের গলায় ঠিক
তার বাবার মতো স্নেহের
সুর। মনে মনে
নিজে ইষ্টকে আর একবার ধন্যবাদ দিল সেই বালিকা।
বাইরে বেরিয়ে
দেখল, পিচমোড়া করে
বাঁধা রয়েছে সেই
নরপিশাচটাকে। যে-মানুষটা সিংহের মতো বিক্রম নিচ্ছিল তার সম্মুখে, এখন তার চোখের ভিতু
ভয়ার্ত দৃষ্টি। সে এক দলা থুথু ছুড়ে দিল তার মুখে। তার পিছে পিছে বাকি পুরনারীরাও বেরিয়ে গেলেন।
আক্রমণকারী দস্যু কিংবা কারা সে জানে না, কিন্তু তারা যথার্থ পুরুষ। তারা নারীদের
অঙ্গ তো দূর, ছায়া অবধি
স্পর্শ করল না।
***
হাড়িকাঠের
সামনে রাখতেই তীব্র ভয়ে আর্তনাদ করে উঠল দুইজন। সম্মুখের মানুষটাকে তারা
চিনতে পেরেছে। এই মানুষটার স্ত্রীকে অপহরণ করেছিল তারা…! তারা কাকুতিমিনতি করল, তার পায়ে ধরতে
চাইল। কিন্তু বজ্রকঠিন কণ্ঠে তিনি বললেন, “তোমাদের ত্রাণ হয়ে গেল হে। তোমাদের মায়ের কাছে বলি দিচ্ছি। চণ্ডী, যুগল আর দেরি
করিসনে, এদের তাড়াতাড়ি মুক্তির
ব্যবস্থা কর…!”
চোখের নিমিষে
দুইখানি খড়্গ নেমে গেল।
তাদের মুন্ডু
দু’খানা গড়িয়ে পড়ল মা কালিকার পদে। মা যবন-মর্দিনীর ওষ্ঠপুটে সন্তুষ্টির হাসি ও খেলল
বোধহয়…।
***
এতক্ষণ ধরে
আপনারা পড়ছিলেন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ডাকাত বেণী রায় অর্থাৎ শ্রীবেণীমাধব
রায়-এর কথা। সদ্য বিবাহিত শ্রীরায়ের পত্নীকে অপহরণ করেছিল যবন দস্যুরা। তিনি আত্মহত্যা
করতে চেয়েছিলেন,
তখন তাঁকে
উদ্ধার করে নিয়ে যান গোবিন্দ সিংহ। তিনিও একইভাবে যবনদের অত্যাচারে অত্যাচারিত।
শ্রীপুর জঙ্গলে
এক ডাকাতদল গড়ে তোলেন
তিনি। তাঁদের
মূল উদ্দেশ্য ছিল আর্তের ত্রাণ। এই ত্রাণকর্মে তাঁরা কোন ধর্মভেদ করতেন না। নারী সে
যে-ধর্মেরই হোক না কেন,
তাকে সব সময় মা
বলেই গণ্য করা হত।
সুলতান দাউদ
শাহ করনানির (ষোল শতক,
বাংলার শেষ পাঠান
সুলতান) সময়ে দস্যু-সরদার বেণীমাধব রায় পাঠান শাসকদের কাছে ত্রাস স্বরূপ হয়ে উঠেছিলেন, তাঁর দুইজন
সহচর ছিল— যুগলপ্রসাদ এবং চণ্ডীচরণ।
তাঁর দলের
লোকজন প্রায় একটি সেনাবাহিনীর সমান রূপ নিলে, তিনি শ্রীপুর থেকে সুবিশাল চলনবিলের মধ্যে আশ্রয় নেন। এবং
সেখানে কৈতের
চরে নিজের
সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন।
তিনি মা
কালিকাকে তন্ত্রমতে পূর্ণ-উপাচারে পূজা দিয়ে তবেই ডাকাতিতে বের হতেন। মায়ের সামনে তিনি
যবনদের বলি দিতেন। তাঁর মা তাই যবন-মর্দিনী নামে খ্যাত।
এ কাহিনির
উল্লেখ হয়তো ইতিহাস বইয়ে খুব সামান্যই আছে। কিন্তু লোককথায়ও মানুষের মনে আজও ছড়িয়ে
রয়েছে এই কাহিনি।
এই কাহিনি
শাশ্বত এবং অমর, তার সবচাইতে বড়ো প্রমাণ—
শেরপুরের প্রাচীন শাক্ত সান্যাল বংশ। এই সান্যালই হলেন শ্রীযুগলকিশোর স্যানাল। বেণীমাধব রায়
শেষ জীবনে ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করলে দেখভালের দায়িত্ব নেন তাঁর দুই সুযোগ্য সন্তানসম
শিষ্য— যুগলকিশোর ও চণ্ডীপ্রসাদ। এর মধ্যে যুগলকিশোরের গৃহেই মা যবন-মর্দিনী এতকাল ধরে পূজা
পেয়ে আসছেন। পরে ভূমিকম্পে মায়ের বেদির ব্যাপক ক্ষতি হলেও কিছু কিছু এমন অংশ রয়েছে
যা থেকে প্রমাণ হয়— ইনিই সেই প্রাচীন দেবী মা।
এবং পাতাজিয়ার
চণ্ডীপ্রসাদের পরিবার পাতাজিয়ার রায় পরিবার নামে এখনও যথেষ্ট প্রসিদ্ধ এবং তাঁর বংশধররা
বর্তমান। কুলিন ডাকাত বেণী রায়ের কথা বঙ্গদেশের আনাচে-কানাচে আজও ফেরে, যতই ইতিহাস বই
তাকে ঠাঁই না-ই দিক।
___________________________________________________________________________
প্রতিরোধে বীর ভারত-সন্তান ধারাবাহিকটির আগের পর্বগুলি পড়ুন:
প্রথম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post.html
দ্বিতীয় পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_13.html
তৃতীয় পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_20.html
চতুর্থ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html
পঞ্চম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/06/blog-post_24.html
ষষ্ঠ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post.html
সপ্তম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_12.html
অষ্টম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_19.html
নবম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_27.html
দশম পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/07/blog-post_27.html
একাদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_88.html
দ্বাদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_15.html
ত্রয়োদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_24.html
চতুর্দশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/08/blog-post_30.html
পঞ্চদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/09/blog-post.html
ষোড়শ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/09/blog-post_13.html
সপ্তদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/09/blog-post_20.html
অষ্টাদশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/10/blog-post_11.html
ঊনবিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/10/blog-post_25.html
বিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/11/blog-post.html
একবিংশ পর্ব: https://blogs.antareep.in/2025/11/blog-post_8.html

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন