ভাইরাস - শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

 



ভাইরাস

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়


এই পেয়ারা কী অদ্ভুত একটা গাছ বলেন দেখি। একই সঙ্গে নরমসরম, আবার মজবুতও। একটা ডাল ভাঙার চেষ্টা করুন।‌ ঝট করে পারবেন না!‌’‌

বলতে-বলতে লোকটা পরম মমতায় পেয়ারা গাছটার গায়ে হাত বোলায়। কী সব বিড়বিড় করে। তারপর দু’‌গাছি নারকেল দড়ি বাঁধে গাছটায়। দড়ির অন্য প্রান্তটা মুঠোয় নিয়ে ঘুরে যায় ওপাশে। গাছটা যেদিকে হেলে পড়েছে, তার উলটো দিকে। টান দেয় জোরে। লোকটার হাতের শিরা ফুলে ওঠে। বেশি কসরৎ করতে হয় না। একটু জোরে টান পড়তেই ফের সোজা হয়ে যায় সুবোধবাবুদের সাধের পেয়ারা গাছ। একটা নারকেল গাছের গুঁড়িতে দড়িটা কষে বেঁধে লোকটা কোমরে দু’‌হাত দিয়ে হাসিমুখে তাকিয়ে থাকে গাছটার দিকে। যেন নিজের কৃতিত্বে নিজেই মুগ্ধ।

সুবোধবাবু মুচকি হেসে বলেন, ‘‌কী বললে গাছটাকে?‌’‌

লোকটা লজ্জা পায়। ‘‌এসব দড়িটড়ি বাঁধাবাঁধি তো, একবার বলে নিলাম।’‌

‘‌ওহ, পারমিশন নিলে!‌’‌ উঁচু গলায় হেসে ওঠেন সুবোধবাবু।

লোকটা সরল মুখে বলে, ‘‌এইব গাছপালা, পাখপাখালি, সবই আমার মানুষের মতো মনে হয় কর্তা। এই পেয়ারা গাছকেই দেখুন। বিপদে পড়েছিল। ওই সব্বনেশে ঝড় সামাল দিতে পারেনি। শুয়ে গিয়ে প্রায় মাটি ধরে নিয়েছিল। কিন্তু একটু ঠেলাঠেলি করতে আবার কেমন খাড়া হয়ে গেল। মানুষেরও ওইটুকুই ঠেকনাই তো দরকার হয়। আপনি যেমন আজ আমাকে একটু ঠেলে সোজা করে দিলেন।’‌

সুবোধবাবুর অস্বস্তি হয়। তাড়াতাড়ি বলেন, ‘‌এবার ঝটপট ভাঙা ডালপালাগুলো সরিয়ে ফেল। বেলা হয়ে যাচ্ছে।’‌

হ্যাঁ কর্তা, আপনার নাওয়া-খাওয়ার দেরি হয়ে যাচ্ছে। এখুনি সব করে ফেলছি। ঝটপট হয়ে যাবে একেবারে।’‌

বাড়িতে কুড়াল ছিল না, একখানা দা ছিল নারকেল ছাড়ানোর, তাই এনে দিয়েছেন। অপটু হাতে লোকটা ভাঙা ডালগুলো কেটে-কেটে সরাচ্ছে। তাকিয়ে থাকেন সুবোধবাবু। কে যে কাকে ঠেকনা দেয় বলা শক্ত। কাল রাতের ওই ভয়ঙ্কর ঝড়ের পর সকালে উঠে তছনছ বাগান দেখে গিন্নি প্রায় কেঁদে ফেলেছিল। অবশ্য নামেই বাগান। ফটকের দু’‌ধারে কিছু নয়নতারা আর গাঁদাফুল আর সদর দরজার পাশে একটা কামিনীফুল গাছ। বাকি জমিটার এপাশে লাউয়ের মাচা, বেগুন আর টমেটো গাছ কয়েক সার, শাকের ক্ষেত। ওপাশে একটা জামরুল, এক জোড়া পেয়ারা আর একটা বাতাবি লেবু। আর পাঁচিল ঘেঁষে এক গণ্ডা নারকেল গাছ। লাউমাচা, শাকের ক্ষেত তো লণ্ডভণ্ড বটেই, গাছের ডালও ভেঙেচুরে তছনছ হয়েছিল ঝড়ে। সুবোধবাবু বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে ছিলেন সেদিকে। ভাবছিলেন, কী করে পরিষ্কার করবেন এই জঞ্জাল!‌ এমন সময় মুশকিল আসান হয়ে হাজির হল লোকটা। পুরোনো আলাপির গলায় বলল, ‘‌এঃ হে, খুব ভাঙচুর হয়েছে দেখছি!‌ একটু ডালপালাগুলো সাফ করিয়ে নেবেন নাকি বাবু?‌’‌

একটুক্ষণ তাকিয়ে থেকেছিলেন সুবোধবাবু। নাহ্‌, চেনেন না। আগে কোথাও দেখেননি। উটকো লোককে ঢুকতে দেবেন বাড়িতে? তারপরই মনে হয়েছিল, ভেতরে আর কোথায়, বাড়ির বাইরেই তো!‌ সাবধানী গলায় বলেছিলেন, ‘‌কত নেবে?‌’‌

লোকটা যেন আশা করেনি তার মজুরি জানতে চাওয়া হবে। সঙ্কুচিত হয়ে বলেছিল, ‘আজ্ঞে ‌যা ভালো বোঝেন, তাই দেবেন।’‌

আরেকটু যাচাই করে নিতে সুবোধবাবু জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‌আগে এসব কাজ করেছ কখনও?‌’‌

লোকটা মরিয়া গলায় বলেছিল, ‘‌আমরা গরিব মানুষ বাবু। যা কাজ পাই, তাই করি। এদানিং একটু বিপদে পড়েছি।’‌

সুবোধবাবু ভারিক্কি চালে বলেছিলেন, ‘‌হুঁ, লকডাউন। কারও হাতে কোনও কাজ নেই। যাক, তুমি শুরু করে দাও।’‌

কথাটা বলার সময় তিনি নিজে কোথাও আশ্বস্ত বোধ করেছিলেন, যে সরকারি স্কুলে তাঁর মাস্টারির চাকরিতে অন্তত এখনই কোনও সংকট নেই। গত দু’‌মাস ঘরে বসেই বেতন পেয়েছেন। সেজন্য কখনও একটা চোরা অপরাধবোধ চাগাড় দিয়ে ওঠে। কিন্তু স্কুল খুলে গেলে যখন বেশি সময় দিয়ে সিলেবাস শেষ করতে হবে, তখন তো বেশি পয়সা পাবেন নাএই ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

বেশি সময় নিল না লোকটা। ভাঙা ডালপালা একজায়গায় করে সব বেঁধেছেঁদে হাতজোড় করে সামনে এসে দাঁড়াল। পকেটে হাত ঢুকিয়ে একটা একশো টাকার নোটই বের করেছিলেন প্রথমে, তারপর কী ভেবে আরও দুটো দশ টাকার নোট দিলেন। লোকটা এমনভাবে জোড়হাতে সেই সামান্য টাকা মাথায় ঠেকিয়ে নিল, খারাপ লাগল। অপুষ্টিতে শুকিয়ে যাওয়া, তাল তোবড়ানো একটা মুখ। কোটরে বসা চোখ। নোংরা জামাটা ঘামে সেঁটে বসে আছে ক্ষয়াটে শরীরে। প্রায় ঘণ্টাখানেক খাটল। তার মজুরি মাত্র ১২০ টাকা!‌ ভাবতে-ভাবতে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, ‘‌বেলা অনেক হয়েছে, দুটো ভাত খেয়ে যাবে?‌’‌

চকচক করে উঠল লোকটার চোখজোড়া। প্রবল সঙ্কোচ নিয়ে বলল, ‘খাবারটা ‌যদি বেঁধে নিয়ে যাই কর্তা?‌’‌

কীসে বেঁধে নিয়ে যাবে?‌ তোমার তো একটা গামছাও নেই!‌ কেমন মজুর তুমি কে জানে!‌ খালি হাতে কাজে বেরিয়ে পড়েছ!‌ আচ্ছা দাঁড়াও, দেখি।

সুবোধবাবু বাড়ির ভেতরে গেলেন। ঝোঁকের মাথায় ভাত খাওয়ার কথাটা বলে ফেললেন, কিন্তু তাঁদের দুজনের সংসারে তিনজনের ভাত হবে কি না, তিনি তো জানেন না। কিন্তু ওই হেলে-পড়া পেয়ারা গাছ ফের খাড়া হওয়ার খবর পেয়েই গিন্নি সাক্ষাৎ মা অন্নপূর্ণা। বাড়তি একজনের খাবার হবে কি না জিজ্ঞেস করায় কপট রাগ দেখিয়ে বললেন, ‘‌ও মা, সে আবার কী কথা!‌ দু’‌জন খেলে তিনজনেরও কুলিয়ে যাবে!‌’‌

ব্যবস্থা হয়ে গেল। লোকটা এখানে বসে একটু খেয়ে নিক, আর কিছুটা খাবার নিয়ে যাক। একটা পুরোনো টিফিন কেরিয়ার আছে। লোকটা যদি দিব্যি দিয়ে বলে সেটা ফেরত দিয়ে যাবে, তাহলে সেটাতেই খানিকটা ডাল-ভাত-তরকারি ভরে দেওয়া যায়। ‘‌আহা, বাড়িতে নিশ্চয়ই বউবাচ্চা আছে।’‌ করুণ মুখে বললেন গিন্নি।

বারান্দাতেই খাওয়ার ব্যবস্থা হল। সুবোধবাবু বসলেন চেয়ারে, সামনে উঁচু টুলে খাবার থালা। শরীর ভারী হয়ে গেছে, আজকাল মাটিতে বসতে কষ্ট হয়। লোকটার আসন পাতা হল মুখোমুখি। স্টিলের থালায় গোছ করে দেওয়া হল ভাত, উচ্ছে চচ্চড়ি, ডাল, পাট শাক ভাজা, চারা পোনার ঝোল। লকডাউনের মধ্যে সুবোধবাবু আর বাজার যাচ্ছেন না। বাজারের একটা লোক হপ্তায় দু’‌দিন ডিম, মাছমাংস, শাকসবজি দিয়ে যায়।

ভাতের থালা সামনে নিয়ে খানিকক্ষণ থুম হয়ে বসে রইল লোকটা। তারপর বলল, ‘‌সত্যি, কী একটা ভাইরাস না কী রোগ এল বলুন তো!‌ গতরে খেটে দু’‌বেলা দু’‌মুঠো খাব, তারও উপায় রইল না।’‌

বাগানের চাপাকল থেকে আগেই হাতপা ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে এসেছিল, তাও গেলাস কাত করে জল নিয়ে লোকটা ফের হাত ধুল। তারপর ভাতের থালাটা সবে নিজের দিকে টেনে নিয়েছে, শুরু হল হাঙ্গামা। এক দল লোক হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ঢুকে এল বাগানে। চমকে তাকালেন সুবোধবাবু। বেশিরভাগই পরিচিত মুখ। এলাকার দুটো রাজনৈতিক দলের কর্মী। কয়েকজন একসময় তাঁর ছাত্র ছিল। এমন কী ঘটল, যে সব একসঙ্গে দল বেঁধে চড়াও হল!‌ তাও আবার তাঁর বাড়িতে। জটলার মধ্যে কয়েকজন, তাঁদের তিনি চেনেন না, সামনে বসা লোকটার দিকে আঙুল তুলে চেঁচিয়ে উঠল, ‘‌ওই তো, ওই তো!‌’‌ বাকিরা ধুয়ো তুলল, ‘‌পাওয়া গেছে, পাওয়া গেছে।’‌

সুবোধবাবু হকচকিয়ে গেলেন। চোরডাকাত নাকি?‌ আর লোকটাই বা এরকম ঘাবড়ে গেছে কেন?‌ ভাতের থালার দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হাত গুটিয়ে, ঘষটে সরে যেতে চাইছে দেওয়ালের দিকে। তাড়া খাওয়া জন্তুর মতো থরথরিয়ে কাঁপছে।

সবে ভাত ভেঙেছিলেন সুবোধবাবু। এঁটো হাতেই উঠে দাঁড়ালেন। গিয়ে দাঁড়ালেন সামনের ভিড় আর ভয়ে জড়সড়ো লোকটার মাঝখানে। গলাখাঁকারি দিয়ে বললেন, ‘‌দাঁড়াও, দাঁড়াও, সমস্যাটা কী বলো তো?‌’‌

জটলার থেকে বেরিয়ে এল উত্তরণ সরকার। এলাকার তরুণ তুর্কি নেতা। ‘‌আপনার মতো ভালোমানুষদের নিয়ে মহা মুশকিল আমাদের মাস্‌সাশাই। যাকে-তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেন!‌ আপনি জানেন, এই লোকটা কে?‌ কী বিপজ্জনক ও, জানেন?‌’‌

সুবোধবাবু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন মাথা নিচু, জোড়হাত মিনতির ভঙ্গিতে মাথার ওপর তুলে বসে থাকা লোকটার দিকে। বিপজ্জনক লোকের শরীরের ভাষা এমন হয় না। উত্তরণের দিকে ফিরলেন তিনি। ‘‌না, জানি না। তুমিই বলো।’‌

উত্তরণ উত্তেজিতভাবে হাত নেড়ে বলল, ‘‌এ লোকটা লেবার। কালই ফিরেছে তেলেঙ্গানা থেকে। এখন ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। সরকার সব ব্যবস্থা করে রেখেছে। আর এ ট্রেন থেকে নেমেই পালিয়েছে। নিজের বাড়ি যাওয়ার তালে ছিল আর কী। গ্রামের লোক দেখতে পেয়ে তাড়া করেছিল। তারপর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে!‌ এলাকার লোকেদের জন্যে কত বড়ো বিপদ ভাবুন মাস্‌সাশাই। শরীরে রোগজীবাণু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’‌

‘‌আরে, ও নিজেই তো একটা আস্ত ভাইরাস!‌ চেহারা দেখুন-না। ওইরকমই খোঁচাখোঁচা চুল!‌ হেহে-হে’‌ নিজের রসিকতায় নিজেই একচোট হাসে বিকাশ। বিপক্ষ পার্টির লোকাল নেতা। এখন উত্তরণের পাশেই দাঁড়িয়ে। শুধু পাশে থাকাই নয়, কী চমৎকার এক সুরে কথাও বলছে দু’‌জনে!‌

‘‌কেন, যারা বাইরে থেকে এসেছে, তাদের কারও কি করোনা ধরা পড়েছে?‌’‌ সুবোধবাবু শান্ত গলায় জানতে চাইলেন।

বিকাশ প্রশ্নটা শুনে থতমত খেল। উত্তরণ পাশ থেকে তাড়াতাড়ি বলল, ‘‌ওই জন্যেই তো কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। ওখানে টেস্টফেস্ট সবই হবে।’‌

‘‌কোথায় হয়েছে কোয়ারেন্টিন সেন্টার?‌’‌ ফের প্রশ্ন করলেন সুবোধবাবু। এরা তাঁর ছাত্র ছিল। চিরকাল তিনি প্রশ্নই করে গেছেন এঁদের। প্রশ্নে-প্রশ্নে জেরবার করে বুঝতে চেয়েছেন, আসলে কে কত ভালো শিখেছে।

কিন্তু বিরক্ত হল উত্তরণ। ‘‌কয়েকদিন ধরেই তো মাইকে ঘোষণা করছি, শোনেননি?‌ স্টেশনের পাশেই, বিনোদিনী উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের একতলাটা সরকার নিয়ে নিয়েছে। ওখানেই খাটফাট সব ব্যবস্থা হয়েছে।’‌

‘‌আর টেস্টিং?‌ ওখানেই?‌’‌ সুবোধবাবু নাছোড়।

এবার ভিড়ের মধ্যে থেকে এগিয়ে আসে আরেকটি ছেলে। বেশ সভ্যভদ্র চেহারা। ‘‌স্যর, আমি এখানকার ডিস্ট্রিক্ট হেল্‌থ সেন্টারের আরএমও। আসলে যারাই বাইরে থেকে আসছে, তাদের সবাইকে সাসপেক্টেড কোভিড পেশেন্ট হিসেবে ট্রিট করছি আমরা। এই লোকটির এখনই কোয়ারেন্টিনে যাওয়া উচিত স্যর। কিন্তু এরা ফিরেই এদিক-ওদিক চলে যাচ্ছে। বুঝছে না, যে বাকি লোকেদের জন্যে সেটা কত বড়ো বিপদ!‌’‌

ডাক্তারের কথায় যে সামান্য সহানুভূতির সুর, সেটাই বোধহয় অল্প সাহস দিল লোকটাকে। মরিয়া গলায় বলল, ‘‌দশ মাসের ওপর বাড়ির বাইরে। ওদের টাকা ফুরিয়ে গেছে, ভাত জুটছে না। ফেরার আগে খবর পেয়েছিলাম, ছোট মেয়েটার জ্বর। বাড়ির এত কাছে এসেও একবার না-গিয়ে থাকা যায়!‌’‌

‘‌কিন্তু গোটা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিস কেন তুই, ব্যাটা ভাইরাস!’‌ দাঁতমুখ খিঁচিয়ে বলল বিকাশ।

‘‌খিদে পেয়েছিল বাবু। ট্রেনে শুকনো রুটি চিবিয়েছি। ডাল, তরকারি, সব পচে গিয়েছিল। শুধু রুটি। দু ঢোঁক বাড়তি জলও পাইনি।’‌ বলতে-বলতে শেষের দিকে কেমন অদ্ভুত এক কাঠিন্য এসে যায় লোকটার গলায়। সোজা হয়ে বসে লোকটা। শিরদাঁড়া টান করে। সামনে ধোঁয়াওঠা ভাতের থালা। যে ভাত ও খেটে রোজগার করেছে।

তাকিয়ে থাকেন সুবোধবাবু। অভুক্ত ভারতবর্ষ বসে আছে তাঁর সামনে। আর ভাইরাস?‌ তার চেহারা কেমন হয়, তিনি এখনও জানেন না।‌‌‌


অলঙ্করণ: চিরঞ্জিত সামন্ত


______________________________________________________________________________

আকর্ষণীয় ছাড়সহ অন্তরীপ পৌষ ১৪২৭ (কালের পদচিহ্ন) বিশেষ সংখ্যাটি সংগ্রহ করার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক-এ:





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি